প্রতীকী ছবি
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত বিদেশ পর্যটকদের জন্য রাজ্যের দরজা বন্ধ করতে চলেছে সিকিম সরকার। সেই সঙ্গে অক্টোবর মাসে পুজোর আগে পর্যন্ত দেশীয় পর্যটকদের সিকিমে ঢুকতে দিতে চায় না তারা। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে, সরকারিভাবে এটি ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন সিকিমের পর্যটন মন্ত্রী বিএস পন্থ। সিকিমে এখনও পর্যন্ত কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। সেই ধারা বজায় রাখতে এই 'নো ট্যুরিজম' সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি ঘোষণা হলে, এই প্রথম কোনও রাজ্য, বাইরের পর্যটকদের জন্য এতটা লম্বা সময় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেবে। গত ১৭ মার্চের পর থেকে সরকারি নির্দেশে সিকিমে পর্যটক ঢোকা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এর জন্য ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হবে ধরে নিয়ে, তাঁদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের কখাও ভাবছে সিকিম পর্যটন দফতর। সিকিমের পর্যটন ব্যবসায় বহু বাঙালি-সহ বাইরের রাজ্যের ট্যুর অপারেটরদের বিনিয়োগ থাকে। তাঁদের সঙ্গেও বিভিন্নস্তরে আলোচনা শুরুর কথা ভাবছেন বলে সিকিমের পর্যটন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন।
সিকিমের পর্যটন মন্ত্রী পন্থ বলেছেন, “আমাদের পাশে চিন। তাই আমাদের বেশি সতর্কতা নিতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সব জানিয়েই আমরা ঘোষণা করব। বিদেশিদের জন্য বছরভর আর দেশের অন্য প্রান্তের মানুষের জন্য অক্টোবর পর্যন্ত সিকিমে পর্যটন বন্ধ থাকতে পারে।
গত ৫ মার্চ করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক ধাপেই বিদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল সিকিম। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করে, তা করায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সিকিম সরকারকে। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তরফে, তখন কড়া চিঠি দেওয়া হয় সিকিমকে। তাই এ বার কেন্দ্রীয় সরকারকে সব কিছু জানিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস গোলে ইতিমধ্যে সেইরকমই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সিকিমের পর্যটন দফতরের আধিকারিকরা জানান, মে মাসে ওই রাজ্যে গরমের পর্যটন মরসুম মোটামুটি শেষ হয়ে যায়। তারপরে তিন-চার মাস বর্ষাকাল। ধস এবং বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি এলাকা বন্ধ থাকে। ফের পুজোর আগে শুরু হয় মরসুম। তাই ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশীয় পর্যটকদের জন্য সিকিম বন্ধ রাখার চিন্তভাবনা চলছে। এ বছর ২২ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে। তাই পুজোয় সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনায় সমস্যা হবে না বলে তাঁরা জানালেন।