প্রতীকী ছবি।
দলের নেতা, কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা রুজুর অভিযোগ তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতারা। লকডাউনের মধ্যেই এর প্রতিবাদে জেলা পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ কর্তারা। পুলিশ জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা কথা এবং বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করায় অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা রাজনৈতিক দলের কোনও বিষয় নয়।
লকডাউনের সময়ে রেশনে বিনামূল্যে চাল ও গম দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু আলিপুরদুয়ার জেলার অনেক জায়গাতেই রেশনের চাল ও গম বিলি নিয়ে অনিয়ম চলছে বলে গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ তুলছেন জেলার বিজেপির নেতারা। রেশনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে, দু’দিন আগে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। বিজেপি সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও দলের বিভিন্ন নেতা, কর্মীরা সরব হয়েছেন। আর তাঁদের বিরুদ্ধেই পুলিশ মিথ্যা মামলা করছে বলে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার অভিযোগ, “অনেক জায়গায় রেশন নিয়ে অনিয়ম চলছে। অনেক জায়গায় কার্ড না পাওয়ার জন্য মানুষ রেশন পাচ্ছেন না। এই বিষয়গুলির সমাধানে প্রশাসনকে কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। অথচ, এর বিরুদ্ধে আমাদের দলের নেতা, কর্মীরা কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখলেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলার একাধিক থানায় এই ঘটনা ঘটেছে।“ বিজেপির জেলা সভাপতি জানান, অবিলম্বে তাঁদের দলের নেতা, কর্মীদের নামে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই পুলিশ সুপারের দফতর ঘেরাও করবেন তাঁরা।
রেশন নিয়ে বিজেপির অভিযোগের উত্তরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিভিন্ন ক্যাটাগরির রেশন কার্ড যাঁদের যেমন রয়েছে, তাঁরা সকলেই রেশন পাচ্ছেন। যাঁদের কোনও রেশন কার্ড নেই, সরকার ও প্রশাসন তাঁদের পাশেও রয়েছে।”
মিথ্যা মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ বিজেপির অভিযোগ মানতে নারাজ। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “এ রকম কোনও বিষয় আমার জানা নেই।"
জেলার এক পুলিশ কর্তার কথায়, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পোস্ট করছেন, আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনও সম্পর্ক নেই।