Coronavirus

খাদ্য কুপন নেই, অমিল সাহায্যও

স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে চারজনের সংসারে দিন কাটছে একবেলা খেয়েই, জানালেন রাজু।

Advertisement

অনুপতন মোহান্ত

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৬:১৭
Share:

অসহায়: (বাঁ দিকে) মায়া মোহান্ত। (ডান দিকে) আধপেটা খেয়ে দিন কাটছে রাজুর দুই শিশু সন্তানের। নিজস্ব চিত্র

দেখার কেউ নেই, লকডাউনে চরম দুরবস্থায় দিন কাটছে বালুরঘাটের ডাঙা অঞ্চলের রঘুনাথপুর এলাকার অসহায় বিধবা বৃদ্ধা মায়া মোহান্তের। তিনি জানালেন, লোকের বাড়ি কাজ করে কোনও মতে চলত। সেটা তো বন্ধ। আর লকডাউনের আগে ৩ কেজি গম কেনা ছিল। মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটা ভাঙাতেও পারছিলেন না। কয়েক দিন আগে প্রায় আড়াই কিলোমিটার হেঁটে মাহিনগর থেকে তা গম ভাঙিয়ে আনেন। সেই আটাও প্রায় শেষ। বৃদ্ধার এক ছেলে থাকলেও তিনি মা’কে দেখেন না বলেই জানালেন বাসিন্দারা। মায়াদেবী জানালেন, তাঁর ডিজিটাল কার্ড হয়নি। তবে বড় রেশন কার্ড থাকলেও পাননি খাদ্য কুপন। তাই রেশনের খাদ্যসামগ্রীও পাচ্ছেন না।

Advertisement

তাঁর প্রতিবেশী টোটোচালক রাজু দামের অবস্থায় প্রায় একই। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে চারজনের সংসারে দিন কাটছে একবেলা খেয়েই, জানালেন রাজু। তাঁর কথায়, টোটো চালিয়ে কোনও মতে সংসার চলে। কিন্তু লকডাউনে তো সে সব বন্ধ। তাই একবেলা খেয়েই দিন কাটছে। তাঁরও দাবি, খাদ্য কুপন পাননি। গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুরের বৃদ্ধা সাহেরা বেওয়ারও একই অবস্থা। প্রতিবেশীরা দিলে খাওয়া হচ্ছে। না হলে দিন কাটছে না খেয়ে, মেলেনিখাদ্য কুপনও।

ওই তিন পরিবারের খবর পেতেই শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরকারি খাদ্য কুপন দল দেখে বিলি হচ্ছে বলে ওঁদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জেলা কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস মজুমদার জানান, জেলাজুড়ে দলের নিজস্ব তহবিল থেকে গরিব মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। খবর পেলেই দুঃস্থদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement