জন বার্লা।—ফাইল চিত্র।
বন্ধ বান্দাপানি চা বাগানে ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। অভিযোগ, তাঁকে ত্রাণ তো দিতে যেতে দেওয়া হয়ইনি। উপরন্তু তাঁকে জঙ্গলের মধ্যে তিনঘণ্টা আটকে রাখা হয়। তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই পুলিশ তাঁকে বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জন। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল।
দীর্ঘদিন থেকেই বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বীরপাড়ার বান্দাপানি চা বাগান। ফলে এই বাগানের শ্রমিকেরা আর্থিক সমস্যার মধ্যেই রয়েছেন। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই সমস্যা আরও বেড়েছে। বিজেপির অভিযোগ, লকডাউনের এই সময়ে বান্দাপানি চা বাগানের শ্রমিকদের সাহায্যে প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এই অবস্থায় রবিবার ওই শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ওই বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। কিন্তু অভিযোগ, ওই বাগান থেকে খানিকটা দূরে রেতির জঙ্গলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়।
এ দিন জন বলেনান, “বান্দাপানি চা বাগানকে আমি দত্তক নিয়েছি। লকডাউনের জন্য ওই বাগানের শ্রমিকরা সমস্যায় রয়েছেন। আমি ওঁদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু পুলিশ আমাকে বাগান পর্যন্তই যেতে দিল না। পুলিশকে বলেছিলাম, অন্তত বাগানের দু’জন শ্রমিককে রেতির জঙ্গলে এসে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যেতে দেওয়া হোক। তাতেও পুলিশ রাজি হয়নি।”
যদিও পুলিশের অভিযোগ, লকডাউন উপেক্ষা করে বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে বিজেপি সাংসদ বান্দাপানি চা বাগানে যাচ্ছিলেন। প্রশাসনের কাছে খবর না থাকায় ওই বাগানেও ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই তাঁকে আটকানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “ত্রাণ বিতরণের ব্যাপারে সাংসদ প্রশাসনের থেকে কোনও অনুমতি নেননি। এই অবস্থায় যাতে লকডাউন না ভাঙে সেজন্যই পুলিশ পদক্ষেপ করেছে।”