Coronavirus Lockdown

যত্রতত্র ভাঙল বিধি, চলল তাস, মাছ ধরাও

শুক্রবার পূর্ণ লকডাউনের দিনও শিলিগুড়িতে দেখা গেল বিধি ভাঙার খেলা

Advertisement

নীতেশ বর্মন

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

বিকিকিনি: শুক্রবার ছিল পূর্ণ লকডাউন। বিধি উড়িয়ে দোকানের পাল্লা অর্ধেক খুলে চলছে কেনাবেচা। শিলিগুড়ির গুরুং বস্তিতে। নেই পুলিশি নজরদারি। ছবি: স্বরূপ সরকার

শুক্রবার পূর্ণ লকডাউনের দিনও শিলিগুড়িতে দেখা গেল বিধি ভাঙার খেলা। শুক্রবারও শহরে উঠেছে লকডাউন উপেক্ষার অভিযোগ। শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। মানুষ সচেতন না হলে আর কি করা যাবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর বিধি ভাঙার অভিযোগে ৫২ জন গ্রেফতার হয়েছে।

Advertisement

কাজের অপেক্ষা

হায়দারপাড়া বাজারের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় জনা দশেক মহিলা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসেছেন। কারও গলায়, কারও হাতে ঝুলছিল মাস্ক। জিজ্ঞেস করতে এক জন বললেন, ‘‘গরম লাগে। কেউ কাছে এলে পড়ি।’’ এক জনের প্রশ্ন, সারাক্ষণ কি মুখে মাস্ক রাখা যায়? প্রায় দু’শো মিটার দূরে পুলিশ মোবাইলে ব্যস্ত।

Advertisement

হঠাৎ দোকান

শহরে হায়দরপাড়া নজরুল সরণি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ভারতনগর ও আরও কিছু এলাকায় রাস্তার পাশে বসেছে মাছ মাংসের দোকান। নজরুল সরণিতে মাছ বিক্রেতা সূর্য পালের জবাব, ‘‘বাজার বন্ধ এভাবে বিক্রি করবো না তো কি?’’ সকাল ১০টা বাজে। বন্ধ সুভাষপল্লি বাজারের পাশে খুলেছে মাংসের দোকান। দোকান খুলেছেন কেন? বিক্রেতা জানালেন, মানুষের চাহিদা তাই দিতে হচ্ছে। একই ছবি বন্ধ ফুলেশ্বরী বাজারের পাশেও।

সময় কাটাতে তাস

ভক্তিনগর নেতাজি মোড় বাজারের ভিতরে তাস খেলছিলেন কয়েকজন। তাদের ঘিরে আরও ৭-৮ জন। অনেকেরই মাস্ক নেই। ছবি তুলতেই তাস ফেলে পালাচ্ছিলেন কয়েক জন। তাঁদের মধ্যে একজন, নিরঞ্জন পাসোয়ান বলেন, ‘‘দোকান বন্ধ সময় কাটাতে তাস খেলছি।’’

মাছ শিকার

কাওয়াখালি এলাকায় বিশ্ব বাংলা শিল্পী হাটের কাছে এশিয়ান হাইওয়ে ২ রাস্তার ধারে একটি কালভার্টের নিচে মাছ ধরছিলেন ৮-১০ জন। রাস্তার দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন আরও ১০-১৫ জন। দূরত্ব বিধির বালাই নেই। পকেটে, গলায়, থুতনিতে মাক্স ঝোলানো।

গরম ভাত

মাটিগাড়া খাপড়াইল মোড়ে জাতীয় সড়কের উপর পুলিশের নজরদারি চলছে। পাশেই হোটেলের দরজা সামান্য ফাঁক করা। কাছে যেতেই হোটেলের মালিক অমল পাল বেরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন? ‘‘ভাত খাবেন? মাছ, মাংস সবই আছে।’’ ভিতরে উঁকি মেরে দেখা গেল জনা দশেক লোক খাচ্ছেন। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যাবে? অমল পালের জবাব, ‘‘চিন্তা নেই। বলবেন নার্সিং হোমে এসেছেন।’’

লটারি বিক্রি

নিউ জলপাইগুড়ি থানার পাশে রাস্তায় পুলিশের নজরদারি চলছিল। পাশে লটারির বিক্রির দোকানে ভিড়। ছবি তুলতে বিক্রেতার জবাব, ‘‘ছবি তুলে আর কি হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement