প্রতীকী ছবি
পঁচিশ শতাংশ শ্রমিককে দিয়ে প্রথম ফ্লাশের চা পাতা তোলা হবে এ রাজ্যে।
শনিবার বিকেলে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানে মোট শ্রমিকের ২৫ শতাংশকে চা বাগানের কাজে লাগানো যাবে বলে ঘোষণা করেছেন। এ দিন রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব লিখিত নির্দেশিকা জারি করে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চা পাতা তোলার অনুমতি দিয়েছেন।
এই ঘোষণায় এখনও প্রথম ফ্লাশের চা পাতা বাঁচানোর আশায় বুক বাঁধছে চা শিল্প।
এতদিন ১৫ শতাংশ শ্রমিককে কাজে নামিয়ে চা বাগানের পাতা ছাঁটার কাজ করার অনুমতি ছিল শুধু। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই চা বাগানকে অত্যাবশকীয় খাদ্য সামগ্রীর আওতায় ছাড় দিয়েছিল। পঞ্চাশ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে পাতা তোলার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র। যদিও এ রাজ্যে এতদিন তা বলবৎ করেনি নবান্ন। চা বাগানে বহু পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছে বলে কড়াকড়ি করার কথা জানিয়েছিল রাজ্য। যদিও চা মালিকপক্ষ বারবার দাবি করছিল, প্রথম ফ্লাশের চা পাতা তুলতে না পারলে আর্থিক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। বহু বাগান বন্ধের আশঙ্কাও করা হয়। এ দিনই উত্তর দিনাজপুরের একটি চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাগানে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়েছে।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ২৫ শতাংশ শ্রমিককে বাগানের কাজে লাগানোর কথা ঘোষণা করেছেন। তারপরেই শিল্পে আশার সঞ্চার হয়। চা মালিকদের সংগঠনের যৌথমঞ্চ কনসাল্টেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অমিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, “সরকারি নির্দেশিকা পেয়েছি। রাজ্য সরকার আমাদের আবেদনে সাড়া দেবেন বলেই আশা রেখেছিলাম। আশা করি, চায়ের অর্থনীতি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে।”
চা শিল্পের একাংশের দাবি সোমবার থেকেই ডুয়ার্স-তরাই-দার্জিলিঙের বাগানে পাতা তোলা শুরু হয়ে যাবে। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “আমরাও চা পাতা তোলার অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলাম। নিয়ম মেনে দ্রুত কাজ শুরু হবে।