প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিলিগুড়িতে মারা গেলেন আরও পাঁচ জন। দু’জন কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে এবং তিনজন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা যান। এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য শঙ্কর ঘোষের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে পুরসভায় গিয়েছিলেন। আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ দিন স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা গিয়েছেন পূর্ব মিলনপল্লির বাসিন্দা ৭৮ বছরের এক ব্যক্তি। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরের বাসিন্দা ৮০ বছরের এক ব্যক্তিও মারা যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই। মৃত্যুর পর তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্টে পজ়িটিভ আসে। শালুগাড়ার এক বাসিন্দা বৃহস্পতিবার ভর্তি হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রিকুতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান। তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতালে শুক্রবার দুপুরে মারা যান ৭৯ বছরের এক মহিলা। তাঁর বাড়ি মাটিগাড়ায়। এ দিন বিকেলে এখানেই মারা যান ফাঁসিদেওয়ার লিউসিপাখরির বাসিন্দা ৫৫ বছরের এক ব্যক্তি। এ দিন মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে মারা যান ডালখোলার বাসিন্দা এক চিকিৎসক। করোনা সংক্রমণ নিয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিলেন ১১ জুলাই। তাঁর ডায়াবেটিস ছিল, শ্বাসকষ্টে ভুগতেন। তবে নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ ও ২৬ জুলাই তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এ দিন বেলা ৯ টা নাগাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শিলিগুড়ি শহরে নতুন করে ২৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ জনের সংক্রমণ মিলেছে। শিলিগুড়ি মহকুমা ও পাহাড় মিলিয়ে আরও ৯জন নতুন আক্রান্ত। তার মধ্যে মাটিগাড়া ৩ জন, নকশালবাড়িতে ৪ জন। দুই পুলিশ কর্মীর দেহেও সংক্রমণ মিলেছে।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)