মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ঘোষণা
Madhyamik

পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে কোভিড বিধি কী ভাবে মানা হবে, চিন্তা

শিক্ষকদের টিকা দেওয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২১ ০৬:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

জুলাই, অগস্টে উচ্চ মাধ্যমিক এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা রাজ্য সরকার ঘোষণা করতেই তার প্রস্তুতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দফতরে। তবে সেই সময় করোনা পরিস্থিতি কী অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই মূল চিন্তা। বিশেষ করে, শিলিগুড়িতে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। মাটিগাড়া, নকশালবাড়ির মতো আধা গ্রামাঞ্চলেও করোনার ব্যাপাক সংক্রমণ। এখনও তা কমার কোনও আভাস নেই। তাই এ দিন ঘোষণার পর কী ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করা হবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

Advertisement

স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা অপেক্ষা করবেন মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ বা উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে কী নির্দেশিকা আসে সেই দিকে। এ দিকে, করোনা-মুক্ত এলাকার স্কুলগুলিতে পরীক্ষা কেন্দ্র করার দাবি অভিভাবকদের একাংশের। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রাজীব প্রামাণিক বলেন, ‘‘ঘোষণা শুনেছি। তবে শিক্ষা দফতর এবং পর্ষদ থেকে কী নির্দেশ আসে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

শিক্ষকদের এবং স্কুল পরিদর্শকের দফতরের আধিকারিকদের কয়েকজন জানান, কোভিড বিধি মেনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে গেলে কেন্দ্রের সংখ্যা অনেকটাই বাড়াতে হবে। কারণ, বড় স্কুলগুলিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষা কেন্দ্র করা হলে সেখানে ৩৫০-৪০০ জন পরীক্ষার্থী থাকে। কিন্তু দূরত্ব রেখে বসাতে গেলে ২০০-২৫০ বেশি পরীক্ষার্থী রাখা যাবে না সেই কেন্দ্রে। পরীক্ষা কেন্দ্রও প্রতিদিন পরীক্ষার আগে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

Advertisement

শিক্ষকদের টিকা দেওয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে। শিলিগুড়ি শহরের স্কুলগুলিতে প্রতিষেধকের অভাবের জন্য টিকা শুরু করা যায়নি। তবে হাতে যে টিকা রয়েছে তা দিয়েই দু’এক দিনের মধ্যেই শহরের স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের টিকাকরণ শুরু করার চেষ্টা চলছে। টিকা ছাড়া করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক শিক্ষক বেরোতে চাইবেন না বলে দাবি করা হয়েছে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিকের আগেই টিকা দেওয়া দরকার বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও ভোটের কাজে যাওয়ার সময় শিক্ষকদের অনেকেই অবশ্য টিকা নিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement