প্রতীকী ছবি।
গত কয়েক দিন থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উত্তরবঙ্গে কমতে শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু করোনার দাপটে মৃত্যুর হার অব্যাহত। আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমলেও এ বার শিলিগুড়িতে পুলিশের সশস্ত্র ব্যাটালিয়নের এক ইন্সপেক্টর মারা গেলেন। এরই মধ্যে রাস্তাঘাটে অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন বলেও অভিযোগ। ট্রেনে, বাসেও অতটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সব দেখেশুনে উত্তরবঙ্গের করোনা নিয়ে কাজ করা চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, সাবধান না থাকলে ফের বাড়তে পারে করোনার দাপট। সামনেই আসছে বড়দিন, বর্ষবরণের উৎসব। সেই সময় সতর্ক না হলে ইউরোপীয় দেশগুলির মতো সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ শুরু হয়ে যেতে পারে, আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
প্রায় দু’সপ্তাহ ওই মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ফুলবাড়িতে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের দ্বাদশ ব্যাটালিয়নের এক ইন্সপেক্টর মঙ্গলবার রাতে মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে। তিনি ৮ ডিসেম্বর শহরের একটি নার্সিংহোমে মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে বাহিনী সূত্রে। কয়েক জনকে কোয়রান্টিনেও রাখা হয়েছিল। সশস্ত্র বাহিনী সূত্রে খবর, ওই ইন্সপেক্টরের সরাসরি সংস্পর্শে আসা কয়েক জনকে চিহ্নিত করে তাঁদেরও পরীক্ষা করানো হয়েছে। কয়েক জনকে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। এর আগে শিলিগুড়ির প্রাক্তন কমিশনার ত্রিপুরারি অথর্ব আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হন কয়েকটি থানার প্রধানও।
করোনার দাপট এখনও কমেনি। কিন্তু তার মধ্যেই রোগটিকে পুরোপুরি উপেক্ষাই করা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। বাজারে, ভিড়ে মাস্ক অনেকেই পরছেন না বলেই নজরে এসেছে। বড়দিনের আগে বিধানমার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেটের মতো এলাকায় প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ছাড়া ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। অথচ, রাজ্য সরকারের তরফে এখনও মাস্ক তুলে দেওয়ার কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের সংগঠন কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের শিলিগুড়ির অন্যতম সদস্য তথা চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘শীতপ্রধান দেশগুলিতে করোনার প্রভাব আবার বাড়তে শুরু করেছে। কয়েকটি দেশ ফের লকডাউনের কথাও ভাবছে। তাই উপেক্ষা, শিথিলতা দেখালেই বিপদ।’’ সংগঠন সূত্রে খবর, শিলিগুড়িতে বড়দিনের আগে নতুন করে প্রচার অভিযান চালানো হতে পারে। শীতের আগেই গণ-পরিবহণ ব্যবস্থার অনেকটাই খুলে গিয়েছে। এখন অন্তত টিকা না আসা পর্যন্ত সকলকেই সাবধানে চলতে হবে বলেই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।