ফাইল চিত্র।
ভোট আবহে সংক্রমণে আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃত্যুও বাড়ছে মালদহে। মঙ্গলবারও মালদহ মেডিক্যালে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে চার জনের। চলতি সপ্তাহে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১। এদিনও জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭০ জন। ফলে ‘বাড়ন্ত’ হয়ে উঠেছে মালদহ মেডিক্যালের কোভিড বিভাগের শয্যাও।
সংক্রমণের জেরে সভা, মিছিল কাটছাঁটের পথে হাঁটছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির দাবি, আজ, বুধবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডার জেলার দু’টি সভাই বাতিল হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল অমিত শাহের সভাও অনিশ্চিত। এমনকি, মাত্র ৫০০জন নিয়ে পুরাতন মালদহের সাহাপুরের জাতীয় সড়কের বাইপাসের ধারে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সভার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দল।
বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বড় স্ক্রিনে জেলার প্রতিটি বিধানসভাতেই দেখানো হবে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও জেলায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘সংক্রমণের জন্য সভার সময় কমানো হচ্ছে।’’ ভার্চুয়াল সভা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘‘বিজেপির মতো ভার্চুয়াল সভা করার টাকা নেই।’’
কেন দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ? চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, হাঁচি, কাশির মাধ্যমে প্রথমদিকে ছড়াচ্ছিল সংক্রমণ। এবার বাতাসেও সংক্রমণের জীবাণু ভেসে থাকতে পারে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। সাধারণ মানুষ, প্রশাসনের গা ছাড়া মনোভাবকেও দুষেছেন তাঁরা। তাঁদের আরও দাবি, সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা নেই। উৎসব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই মাস্ক ছাড়ায় জমায়েত হচ্ছে। প্রশাসনের তরফেও সচেতনতা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
যদিও মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন,‘‘প্রচার চলছে। প্রয়োজনে আরও জোর দেওয়া হবে।’’
এ দিনও দেড় হাজার জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩৭০জন সংক্রমিত হন। এদিন লালা দিতে মেডিক্যালে উপচে পড়ে ভিড়। সন্ধ্যে পর্যন্ত লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয় মেডিক্যালে। মালদহ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চার জন মারা গিয়ছেন। অন্য দিকে, ১৫০ শয্যাতেই রোগী ভর্তি।’’ স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, নতুন করে আরও ২৫ হাজার কোভিশিল্ড জেলায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২টি কেন্দ্র থেকে ভোটকর্মী ও সাধারণ মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।’’