প্রতীকী ছবি।
করোনার সারি হাসপাতালে কারও মৃত্যু হলে সেই ব্যক্তির শেষকৃত্য কোথায় হবে, তা স্থির করতে নতুন জায়গার খোঁজ শুরু করল আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি জায়গা দেখা হয়েছে। তার মধ্যে একাধিক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তি থাকায় প্রশাসন ও পুলিশকর্তারা চিন্তিত। তবে প্রশাসনের আশা, আলোচনার মাধ্যমে একটি জায়গা দ্রুত চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
সম্প্রতি তপসিখাতার আয়ুষ হাসপাতালকে করোনার সারি হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয়। সেখানে কারও মৃত্যু হলে তাঁর দেহের শেষকৃত্যের জন্য শালকুমারে তোর্সা নদীর চর এলাকার একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়। গত রবিবার ওই হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া বৃদ্ধের শেষকৃত্যের ব্যবস্থা নেওয়া হলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। এ নিয়ে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধও হয় এলাকায়। ওই ঘটনায় ২২ জন পুলিশকর্মী জখম হন। পুলিশের তিনটি গাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পরই শালকুমারে করোনা সন্দেহে মৃতদের শেষকৃত্যের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে প্রশাসন। ওই বৃদ্ধের দেহের শেষকৃত্যও অন্যত্র করা হয়। সেইসঙ্গে পরবর্তী প্রয়োজনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে শেষকৃত্যের জন্য নতুন জায়গার খোঁজ শুরু হয়। জেলা পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলার কয়েকটি জায়গা দেখা হয়েছে। একাধিক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি তুলছেন। সূত্রের খবর, শুক্রবার আলিপুরদুয়ার শহর ও শহরতলির মাঝে একটি এলাকার শ্মশানে যান পুলিশ আধিকারিকেরা।