প্রতীকী ছবি।
এক জেলায় ব্যাঙ্ক কর্মী ও বিএসএফ জওয়ান আক্রান্ত। পাশের জেলায় দ্রুত হারে বাড়ছে সংক্রমণ। করোনা নিয়ে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের চিত্র।
মালদহ
মালদহে একাধিক ব্যাঙ্ক কর্মী ও বিএসএফ জওয়ান আক্রান্ত হলেন করোনায়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে জেলার ৭৭ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত গাজোল ব্লকে। সেই ব্লকেই দু'জন ব্যাঙ্ক কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর বিএসএফ ক্যাম্পের দু'জন জওয়ান আক্রান্ত হন। তবে, বৃহস্পতিবার অ্যান্টিজেন টেস্টে পজ়িটিভ কেউ হননি। ২৯টি অ্যান্টিজেন টেস্ট হয়েছিল। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৫০ জন। এর মধ্যে ১৫৪০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এর আগে কয়েক দফায় নারায়ণপুর ক্যাম্পের একাধিক জওয়ান সংক্রমিত হন। বৃহস্পতিবার নতুন করে আরও দু'জন সংক্রমিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার চাঁচল ২, হরিশ্চন্দ্রপুর ২, ইংরেজবাজার শহর, ইংরেজবাজার ব্লকেও আক্রান্তের সংখ্যা বেশি রয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বেশি লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে। অ্যান্টিজেন টেস্টও করা হচ্ছে।’’
স্বাস্থ্য দফতর জানায়, বৃহস্পতিবার জেলায় ৪০৫ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, তাতে জেলায় ৭৭ জন আক্রান্ত হন। এঁদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং একজন বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী। এই ব্লকের তুলসীডাঙা, নয়াপাড়া, থানা রোড এলাকাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি রয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর
গত ৩ ও ৪ অগস্ট আক্রান্তদের নমুনা মালদহের ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। তাতে ৩৩ জনের পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকি ২০ জন এ জেলায় অ্যান্টিজেন কিট এবং ট্রুন্যাটের পরীক্ষায় পজ়িটিভ হন। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্ত হলেন প্রায় ১৭০০ জন।
করোনার থাবা
জেলা আক্রান্ত* সুস্থ
কোচবিহার ১১১৬ ৮৪৩
আলিপুরদুয়ার ৫৩৬ ৩২১
জলপাইগুড়ি ১৬৫৮ ১২৪৮
দার্জিলিং ২৮৫৪ ২০৩৫
কালিম্পং ১১২ ৮৭
উত্তর দিনাজপুর ১৩১৫ ১১০১
দক্ষিণ দিনাজপুর ১৬৬৭ ১১৩৯
মালদহ ২৮৫০ ১৫৪০
মোট ১২১০৮ ৮৩১৪
*৭ অগস্ট রাত পর্যন্ত
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় উপসর্গযুক্ত ও গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে মাত্র ২০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হওয়ায় শহরের হোসেনপুরে নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের সেফ হোমকে শুক্রবার ৮০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হল। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, ‘‘৬ জন চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরনো কোভিড হাসপাতাল থেকে ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম ওখানে পাঠানো হয়েছে।’’
আক্রান্ত ৩৩ জনের মধ্যে বালুরঘাটে ৬, হিলিতে ৭, কুশমণ্ডিতে ৭, তপনে ৬, গঙ্গারামপুরে ৩, বংশীহারিতে ৩ এবং হরিরামপুরে ১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। বালুরঘাটের পাশাপাশি কুমারগঞ্জ, হিলি, তপন, বংশীহারি, হরিরামপুর, কুশমণ্ডি এবং গঙ্গারামপুরের ১৩টি অঞ্চলকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, ‘‘১৪ অগস্ট পর্যন্ত দুপুর ২টো থেকে পরদিন সকাল ৮টা অবধি লকডাউন থাকবে।’’