ছবি এপি।
মঙ্গলবার থেকে ভিন্ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরতে শুরু করলেন মালদহে। ফলে জেলায় করোনা চিহ্নিতকরণে লালারস পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, জেলার যে তিনটি গ্রামকে 'কনটেনমেন্ট' জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে সব বাসিন্দার লালারসের নমুনা পরীক্ষা হবে কিনা? স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখন প্রতি দিন গড়ে প্রায় ২০০ জনের লালারস পরীক্ষা হচ্ছে জেলায়।
মালদহ জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দু'জন। এখনও পর্যন্ত ওই দুই রোগীর সংস্পর্শে আসা ১০০ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ। এক সপ্তাহ বাদে ফের তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১৪০ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব রিপোর্ট নেগেটিভ। এখনও পর্যন্ত মালদহ জেলায় মোট ১৭৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দুটি পজেটিভ বাদে ১৭২৯ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ। মঙ্গলবার ১৫০ জনের লালারস পরীক্ষা করা হয়।
দিন কয়েক আগেই রাজস্থানের কোটা থেকে মালদহে ফিরেছে প্রায় আড়াইশো ছাত্রছাত্রী। তাঁরা এখন হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে অজমের থেকে ফিরলেন ২২৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনের মধ্যেই ভিন্ রাজ্য থেকে ট্রেনে করে একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে আসবেন। এই পরিস্থিতিতে জেলার বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, মালদহ জেলায় লালারসের পরীক্ষার সংখ্যা যেন বাড়ানো হয়।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন তিনটি মেডিক্যাল টিম জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইনফেকশন-এ (আইএলআই)আক্রান্ত রোগীদের লালারসের নমুনা নিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদেরও লালারসের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ দিন অজমের থেকে ২২৪ জন এসেছেন। তাঁদের সকলেরই লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভিন্ রাজ্য থেকে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরবেন তাঁদের বেশিরভাগের লালারসের নমুনা নেওয়ার চেষ্টা হবে।’’ তবে তিনি আরও জানিয়েছেন যে, এই জেলার কনটেনমেন্ট জোন এলাকায় থাকা তিনটি গ্রামের প্রত্যেক বাসিন্দারই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে কিনা তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।