Coronavirus in North Bengal

বাগানে গোষ্ঠী কোয়রান্টিন

সোমবার থেকেই সরকারি নির্দেশে সব বাগানে একশো শতাংশ চা শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৪:৪৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে এবার শুরু হতে চলেছে ‘কমিউনিটি কোয়রান্টিন।’ প্রতিটি চা বাগানে একটি করে সামাজিক কোয়রান্টিন কেন্দ্র থাকবে। বাগানের স্কুল বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কোয়রান্টিন কেন্দ্র থাকবে, এই কেন্দ্রগুলি সরাসরি তত্ত্বাবধান করছে বাগান কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন। সোমবার চা বাগান সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ডেকে আলোচনায় বসে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন। বৈঠকে ছিলেন করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায়। সামাজিক কোয়রান্টিনের মডেল গোটা চা বলয়ে শুরু হতে চলেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, দেশের পাঁচটি রাজ্য থেকে আসা সকলকে সরকারি কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। বাকি রাজ্য থেকে আসা সকলকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু চা বাগানে ফেরত আসা শ্রমিকদের বাড়িতে কোয়রান্টিন থাকার পরিকাঠামো নেই, সে কারণেই সামাজিক কোয়রান্টিনের সিদ্ধান্ত। ঘটনাচক্রে এ দিন সোমবার থেকেই সরকারি নির্দেশে সব বাগানে একশো শতাংশ চা শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

লকডাউনের প্রথম কিছুদিন চা বাগান বন্ধ থাকলেও, তারপর থেকে চা পাতা তোলা শুরু হয়। যদিও অর্ধেক সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ করার অনুমতি ছিল। চা শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, সরকারি নির্দেশ না থাকলেও বহু চা বাগানে একশো শতাংশ শ্রমিক দিয়ে সেকেন্ড ফ্লাশের চা পাতা তোলা শুরু হয়ে যায়। বর্ষার আগে শ্রমিক বেশি প্রয়োজন হয় বলে বাগানগুলি নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা করে নেয়। গত শনিবার রাজ্য সরকারের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়, সোমবার থেকে বাগানে একশো শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কাজ করা যাবে। সেই মতো এ দিন থেকে ‘সরকারি ভাবে’ সব বাগানেই পুরোদস্তুর শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ডুয়ার্সের কিছু বাগানে এ দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল। সেই বাগানগুলিতে আজ মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক কাজ শুরু হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement