প্রতীকী চিত্র
উত্তরবঙ্গের কোভিড হাসপাতালগুলোতে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের পরিষেবা উন্নত করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলার চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ হবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। সম্প্রতি কোভিড হাসপাতালগুলোর পরিষেবা খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রধান অসীম কুণ্ডু। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি ফিরে যান। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালের সিসিইউ, আইসিইউ ঘুরে দেখেন তিনি। চিকিৎসা পদ্ধতির খুঁটিনাটি নিয়েও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। পাঁচটি দল রাজ্যের কোভিড হাসপাতাল ঘুরে দেখছে।
স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার মতো নতুন রোগের চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল। কী ভাবে, কী পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হবে তা নিয়ে আগে চিকিৎসকরাও যথেষ্ট ভাবনা ছিলেন। রোজই নিত্যনতুন পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে চিকিৎসার জন্য। সেই জায়গাগুলো জানাতে এবং কী ভাবে এখন চিকিৎসা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন চিকিৎসক অসীম কুণ্ডু। আগামী সপ্তাহ থেকে কলকাতা মেডিক্যালে এবং উত্তরবঙ্গ মে়ডিক্যালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার নিয়ে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কোভিডের চিকিৎসায় অক্সিজেন থেরাপি বা অন্য থেরাপিগুলো যাতে ঝালিয়ে নেওয়া যায় সেই প্রশিক্ষণ হবে। অসীম কুণ্ডু বলেন, ‘‘হাসপাতালগুলোতে পরিকাঠামো, পরিষেবা ভাল লেগেছে। চিকিৎসকদের বেশ কিছু বিষয় জানাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে। যাতে আরও ভাল পরিষেবা দেওয়া সেই চেষ্টা হচ্ছে।’’ গত সোমবার থেকে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কলিম্পঙের কোভিড হাসপাতালগুলোর ক্রিটিক্যাল কেয়ায় ইউনিটের পরিষেবা খতিয়ে দেখেন তিনি।
শুরুতে কাওয়াখালি কোভিড হাসপাতালের মতো অনেক কোভিড হাসপাতালে আইসিইউ’তে ইনচার্জ পর্যন্ত ছিল না। চিকিৎসকও কম ছিল। কম ছিল শয্যাও। ধীরে ধীরে অবস্থা বদলেছে বলে চিকিৎসকদের দাবি। স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একাংশের দাবি, এখনও কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সে সব সমস্যা মেটাতে রাজ্যকে প্রস্তাব দেওয়া হবে। প্রত্যন্ত জেলাগুলোর চিকিৎসক যারা কোভিডে পরিষেবা দিচ্ছেন তাঁরা যাতে কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিছু দিন আগে রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক উত্তরবঙ্গের কোভিড হাসপাতালগুলো ঘুরে টেলিমেডিসিন পদ্ধতির পরিকাঠামো তৈরি করতে বলেছিলেন। চিকিৎসকরা যাতে প্রয়োজন মতো যোগাযোগ করতে পারেন তার জন্য গ্রুপ তৈরির কথাও ভাবা হয়েছে।