পুলিশকর্মী-অফিসারদের সঙ্গে সুমিত কুমার। —ফাইল চিত্র
“সতর্ক না হলে করোনা সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে না। ভয় পেলে সংক্রমণ আরও ছড়াবে। একটু উপসর্গ দেখা দিলেই লালারস পরীক্ষা করান। উপসর্গ না থাকলেও লালারস পরীক্ষা করাতে পারেন। জেলা পুলিশ আপনাদের সব রকম সহযোগিতা করবে”— করোনা জয় করে বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দিয়ে আধিকারিকদের এমনই বার্তা দিলেন রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার।
এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জের বোগ্রামে জেলা পুলিশের কার্যালয়ে পৌঁছন সুমিত। তাঁকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান জেলা পুলিশের একাধিক কর্তা। দিনভর তিনি জেলা পুলিশের একাধিক আধিকারিক-সহ রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার ও করণদিঘি থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিটি বৈঠকে এসপি জানান, পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার আগে থেকেই তাঁর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না। করোনা আক্রান্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিকের সংস্পর্শে আসার জেরে তিনি লালারস পরীক্ষা করিয়েছিলেন।
৭ অগস্ট শিলিগুড়িতে পুলিশের একটি বৈঠকে যোগ দেন সুমিত। ওই দিন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, তার পরের দিন থেকে নিজের সরকারি বাংলোয় পৃথক একটি ঘরে থাকতে শুরু করেন পুলিশ সুপার। ১৪ অগস্ট লালারস পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। ২৪ ও ২৬ অগস্ট দু’দফায় লালারস পরীক্ষায় তাঁর নেগেটিভ রিপোর্ট মেলে। এর পরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে এদিন তিনি কাজে যোগ দেন।
পুলিশ সুপার জানান, এখনও পর্যন্ত তিনি-সহ রায়গঞ্জ জেলা পুলিশের কর্মী ও সিভিক মিলিয়ে ৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)