মান ভাঙাতে কোর কমিটি

কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন দাবি করেন, যে একজনের কথা বলা হচ্ছে তিনি নানা দলে ঘুরেছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:১১
Share:

কেউ ফোন নম্বর খুঁজছেন। কেউ প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিচ্ছেন, তিনি ‘মুকুলদার’ সঙ্গেই থাকবেন।

Advertisement

তৃণমূল নেতৃত্বের ধারণা, দলের যে নেতারা মনে করছেন, তাঁরা উপযুক্ত মর্যাদা পাচ্ছেন না, তাঁদের অনেকেই মুকুল রায়ের দিকে ঝুঁকতে পারেন। এই নেতাদের কাছে টানার কথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও সম্প্রতি বলেছেন। এই নেতাদের তাই কাছে টানাতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। জলপাইগুড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ব্লকে যে কোর কমিটি তৈরি করা হচ্ছে, তাতে তাঁদের রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

কিন্তু কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতাদের দাবি, তৃণমূলের কেউই মুকুল রায়ের সঙ্গে যাবেন না। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন দাবি করেন, যে একজনের কথা বলা হচ্ছে তিনি নানা দলে ঘুরেছেন। তৃণমূল তাঁকে আগেই বহিষ্কার করেছে।

Advertisement

ফুলবাড়ি অঞ্চল তৃণমূলের এক সময়ের নেতা জয়ন্ত রায়কায়েতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ‘‘প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দলে। পঞ্চায়েত ভোটেও দাঁড়িয়েছিলাম। দল ক্ষমতায় আসার পরে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছি।’’ তিনি বলেন, “আমি শুধু নই। অনেকেই মুকুলদার সঙ্গে যাবেন।” তিনি মুকুলবাবুর ফোন নম্বর খুঁজছেন। প্রয়োজনে কলকাতাতেও যেতে পারেন।

আর এক নেতা কুমার রাজীব নারায়ণের অভিযোগ, দল প্রতিষ্ঠার সময় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সেক্ষেত্রে নতুন মঞ্চ হলে সে কথা ভাবতে হতে পারে আমাদের।” তাঁর দাবি, মুকুল রায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন।

জলপাইগুড়িতেও দলের যে নেতারা এখন সামনের সারিতে নেই, এমন অনেকেই মুকুলবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন বলে তৃণমূলের অন্দরের খবর৷ তালিকায় কয়েকজন সক্রিয় নেতাও রয়েছেন। তাই ঠিক হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার প্রতিটি ব্লকে যে কোর কমিটি দল গড়বে, সেখানে বেশি করে জায়গা পাবেন পুরানো নেতারা৷ যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর কথায়, কোনও নেতা দল ছাড়বেন না, কাউকে অবজ্ঞাও করা হয় না।

তবে কিছু নেতার মনে যে অভিমান রয়েছে, সে কথা বলেছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই। ৭ জুলাই ধূপগুড়িতে যুব সমাবেশে অঞ্চল ও বুথস্তরে ওই নেতাদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সে কাজ কতটা হয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই বিতর্ক রয়েছে। সে কারণেই তৃণমূল নেতারা কিছুটা উদ্বিগ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement