প্রতীকী ছবি
দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে তোড়জোড়ের বার্তায় কোচবিহারে তৃণমূলের নিচুতলায় শোরগোল পড়েছে।
দলের অন্দরের খবর, দক্ষিণবঙ্গে ত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতার কান ধরে ওঠবসের ঘটনার পরেই জেলায় জেলায় দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। একাধিক জেলায় এমন নেতাদের প্রাথমিক একটি তালিকাও হয়েছে। ওই তালিকায় কারা থাকতে পারেন সে-সব নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। ইতিমধ্যে ঘনিষ্ঠ নেতাদের কাছে ওই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন দলের নিচুতলার নেতা-কর্মীদের অনেকে। যদিও দলের জেলাস্তরের এক নেতার দাবি, কোচবিহারের ক্ষেত্রে এখনও সেরকম কোনও তালিকা তিনি হাতে পাননি। তাঁর কথায়, ‘‘এটকু বলতে পারি, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
দলের একটি সূত্রের দাবি, জেলার তালিকায় দলের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত স্তরের নেতার নাম রয়েছে। আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে রাজ্য থেকে জেলায় সেই তালিকা পাঠানোর সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওই আশঙ্কা মাথায় রেখেই নিজেদের শিবিরের ঘনিষ্ঠ নেতাদের ফোন করেও এ দিন অনেকে খোঁজখবর নিয়েছেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সে-কথা মানতে নারাজ। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে মন্তব্য করার ব্যাপার নেই। তবে এটা বলতে পারি, কারও কোনও দুর্নীতি প্রমাণ হলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে।” দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “দুর্নীতি ও শৃঙ্খলার প্রশ্নে দল কোনও আপস করবে না।”
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জেলার ছ’টি পুরসভা এলাকায় ভোট হতে পারে। সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই লোকসভা ভোটে কোচবিহারের হারের ধাক্কা সামলাতে স্বচ্ছতার ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
একশো দিনের কাজ থেকে নানা সরকারি প্রকল্পে স্থানীয় স্তরে নেতাদের যোগাযোগ, ভূমিকা নিয়ে খোঁজখবর চলছিল। তার মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ত্রাণের সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে এক পঞ্চায়েত সদস্যকে বাসিন্দাদের সামনে কানধরে ওঠবস করতে হয়। তার পরেই জেলায় জেলায় তালিকা করে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চাউর হয়ে যায়।
বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, অনেকের সম্পত্তির বহর নজর কাড়ছে। মানুষের কাছে সবকিছু এখন পরিষ্কার।