বিদ্রোহী কবির স্মৃতি ছাত্রাবাসে

তিরিশের দশকে বিদ্রোহী কবি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কোচবিহারে এসেছিলেন। সেই সময় তৎকালীন ভিক্টোরিয়া কলেজের ওই ছাত্রাবাসে ছিলেন তিনি। পরে ওই ছাত্রাবাসটি মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ হাইস্কুলের অধীন হয়। সেটির একটি অংশ ভেঙে নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। ছাত্রাবাসের যে অংশটুকু রয়েছে তাও অবহেলায় ধুঁকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৭ ১৫:৩০
Share:

ঐতিহ্য: টিনের এই ছাত্রাবাসেই থাকতেন নজরুল। —নিজস্ব চিত্র।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি জড়ানো কোচবিহারের প্রাচীন ‘রাজগণ’ ছাত্রাবাস সংরক্ষণের দাবি জানালো জেলার হেরিটেজ সোসাইটি।

Advertisement

সোসাইটির কর্তারা জানান, তিরিশের দশকে বিদ্রোহী কবি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কোচবিহারে এসেছিলেন। সেই সময় তৎকালীন ভিক্টোরিয়া কলেজের ওই ছাত্রাবাসে ছিলেন তিনি। পরে ওই ছাত্রাবাসটি মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ হাইস্কুলের অধীন হয়। সেটির একটি অংশ ভেঙে নতুন ভবন তৈরি হয়েছে। ছাত্রাবাসের যে অংশটুকু রয়েছে তাও অবহেলায় ধুঁকছে। টিনের চালে মরচে। দেওয়ালের অবস্থাও ভাল নয়। অভিযোগ, ওই ঐতিহ্য রক্ষায় সেভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।

কোচবিহার হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “ওই ছাত্রাবাসের কোন ঘরে নজরুল ছিলেন তা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। একটি ঘরে ভাওয়াইয়া শিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যে নজরুল ইসলাম ছিলেন সে সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে। তাই কবির স্মৃতি রক্ষায় ভবনের যতটুকু অংশ এখনও রয়েছে তা রক্ষণাবেক্ষণ দরকার।” কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় অবশ্য উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিদ্রোহী কবি ও আব্বাসউদ্দিনের স্মৃতি রক্ষার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব পাঠানো হবে।”

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারের হেরিটেজ স্বীকৃতি নিয়ে সওয়াল করেন। জেলার ইতিহাস বিজড়িত ভবনের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কোচবিহারের মহকুমা শাসক অরুন্ধতী দে বলেন, “ খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব।” ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ রায় অবশ্য বলেন, “আমাদের কাছে ওই ব্যাপারে তথ্য নেই।” পুরানো স্মারকগ্রন্থ দেখে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement