শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য

একটি সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে শিলিগুড়িতে। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ঘটনা। বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, শিশুটি জন্মের পরে বেঁচে থাকলেও কোনও নার্সের হাত থেকে পড়ে মারা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৫
Share:

একটি সদ্যোজাতের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে শিলিগুড়িতে। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ঘটনা। বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, শিশুটি জন্মের পরে বেঁচে থাকলেও কোনও নার্সের হাত থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। তাদের এমন সন্দেহের দুটি কারণ। প্রথমত, বেলা ১১টা নাগাদ শিশুর জন্ম হলেও বাড়ির লোকজনকে জানানো হয়েছে দুপুর ১টায়। দ্বিতীয়ত, মৃত্যুর কারণ নিয়ে হাসপাতালের তরফে দুরকম কথা বলা হয়েছে বলেও পরিবারের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, প্রথমে শিশুটির গলায় নাড়ি জড়িয়ে রাখার কারণে মৃত অবস্থায় তা প্রসব করানো হয়েছে বলা হয়েছে। পরে হাসপাতাল থেকে শ্বাসকষ্টের কারণে শিশুটি মারা গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে তাঁদের। পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর রাতে থানায় নার্সদের বিরুদ্ধে গাফিলতির নালিশ জানানো হয়েছে।

Advertisement

শিলিগুড়ি হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘যতদূর শুনেছি, শ্বাসকষ্টে সদ্যোজাত মারা গিয়েছে। সাধারণ প্রসবের ক্ষেত্রে সদ্যোজাতের মাথার ওই অংশ ফুলে থাকে। পরে তা স্বাভাবিক হয়। ময়নাতদন্ত করানো হবে। তাতে যা জানা যাবে, তেমনই ব্যবস্থা হবে’’

শিলিগুড়ির হায়দরপাড়ার বাসিন্দা পার্বতী সিংহের এটিই প্রথম সন্তান। রোগিণীকে প্রসব বেদনা নিয়ে সোমবার ভর্তি করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। ওই দিন রাত ১২টা নাগাদ তাঁকে ফের ভর্তি করানো হয়। এদিন দুপুরে তাঁর স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়। পার্বতী দেবীর দাবি, জন্মের পরে শিশুপুত্রটি বেচে ছিল। ঘণ্টা দুয়েক পরেও বাচ্চার কান্না শুনতে না পেয়ে তিনি খোঁজখবর শুরু করেন। সেই সময়ে তাঁকে জানানো হয় বাচ্চা মৃত জন্মেছে। তাঁর স্বামী টোটো চালক দেবাশিসবাবুর কথায়, ‘‘সন্তান জন্মাবার পর বেঁচে ছিল বলে শুনেছি। তা হলে কী ভাবে মারা গেল? হাসপাতালের সুপার একবার বলছেন জন্মের সময় নাড়িভুড়ি গলায় পেঁচিয়ে ছিল। পরে জানান শ্বাসকষ্টে মারা গিয়েছে। একেক সময় একেক কথা বলছেন।’’ তাঁর অভিযোগ ‘‘মাথায় চোট রয়েছে দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। পড়ে গিয়ে আমাদের সন্তান মারা গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ প্রসূতির পরিবারের লোকদের অভিযোগ, রোগী এবং সদ্যোজাতের দিকে চিকিৎসক এবং নার্সরা সঠিক নজর দেয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement