গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করে চিঠির পরে এ বার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি দরবার নিয়েও তৈরি হল বির্তক। বুধবার সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সাক্ষাৎকার পর্ব নিয়ে এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। দার্জিলিং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ওই বিবৃতিতেই উল্লেখ করা হয়েছে, দার্জিলিং পাহাড়ের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সমাধান খুঁজতে কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
এই মন্তব্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এ রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। তাঁদের দাবি, দার্জিলিং পাহাড়ের দাবি নিয়ে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করতে আগ্রহী কি না, সে বিষয়ে সিকিম সরকারের কিছু জানার কথা নয়, তাই এ নিয়ে তাঁদের মন্তব্য অবাঞ্ছিত। সিকিমে খাদ্য সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করে নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে সমতল থেকে খাদ্য পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন চামলিং। রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের মন্তব্য, ‘‘একটি রাজ্যের তরফে বারবার সংবিধান বর্হিভূত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। যথাযথ পদক্ষেপও হবে।’’
দার্জিলিঙে আন্দোলনের জেরে সিকিমকে জাঁতাকলে পড়তে হয়েছে বলে এ দিনও প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চামলিং দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আর্জি জানিয়েছেন। পাহাড় পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন চামলিং। রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে প্রেস বিবৃতিতে। সিকিম নম্বরের গাড়িকে যেতে সমতলে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।