নোট বাতিলের প্রভাবে থমকে যেতে বসেছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প।
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে না পারার জন্য ঠিকাদাররা কাজ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না বলে জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সোমবার দুপুর থেকে শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যায় দফতরের একটি রিভিউ মিটিং হয়েছে। বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, ‘‘নোট বাতিলের জেরে আমরা সমস্যা পড়ে গিয়েছি। সরকারি বিভিন্ন খাতের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। তেমনিই, ঠিকাদাররা নতুন কাজ নিতে চাইছেন না।’’
সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৬-১৭ সালের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক বাজেট ছিল ৫১৩ কোটি টাকা। বছরের শেষে তা ১৯৬ কোটি টাকা কমিয়ে ৩১৭ কোটি টাকা করা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতের ৬৫ কোটি, এন্ট্রি ট্যাক্স খাতের ২৫ কোটি টাকা ছাড়াও বাকিটা রাজ্য বিভিন্ন খাতে কম দিচ্ছে। এ বছর বিধানসভা ভোটের জন্য দফতরের কাজই শুরু হয়েছে অগস্ট মাস নাগাদ। সরকারের বিভিন্ন রাজস্ব খাতে আয় কম হওয়ায় আপাতত বরাদ্দ কমছে বলে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে তাতে নতুন এবং পুরনো সমস্ত কাজের সময়সীমা পিছিয়ে যেতে বাধ্য বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, সেভিংস অ্যাকাউন্টে ২৪ হাজার এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার এক সপ্তাহে মিলছে। তাও ব্যাঙ্কে গেলে টাকা মিলবে কি না তার নিশ্চয়তা নেই। গত ৮ নভেম্বরের পর নতুন ১০৩ কোটি টাকার কাজে ঠিকাদারেরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকেই বলছেন, টাকা তুলতে না পারলে কাজ নিয়ে কী হবে? পুরনো ২৯১টি কাজও গত এক মাসে ঢিমেতালে চলছে। কিছু জায়গায় মাঝেমাঝে কাজও বন্ধ থাকছে। ফুলহার, কালজানি, পুনর্ভবা নদীর সেতু, গোয়ালটুরির রাস্তা এরমধ্যে অন্যতম।’’
সরকারি আধিকারিকরা জানান, নোট বাতিলের আগে এ বছরের ১১৮টি প্রকল্পের জন্য ১৮৮ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছিল। সেগুলির ওয়ার্ক অর্ডারও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নগদ টাকার সমস্যা না মিটলে সেই কাজের গতি নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।