প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে বুধবার কোতোয়ালি হাভেলিতে জরুরি বৈঠক করল কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতি পদে ফের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ দিন প্রথম দলীয় বিধায়ক ও নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করেন দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। পাশাপাশি, দলের রীতি মেনে এ দিন নতুন করে জেলার ১৫টি ব্লক ও দুই শহরের ব্লক সভাপতিদের নাম ঘোষণা হয়। বাকি ব্লকে সভাপতি পদে রদবদল না হলেও রতুয়া ১ ও গাজল ব্লকে সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে দলের ব্লক ও শহর সভাপতিদের এক মাসের মধ্যে ব্লক কমিটি, অঞ্চল কমিটি এবং বুথ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ডালু।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলমকে সরিয়ে ডালুকে বসানো হয়। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ডালু করোনায় আক্রান্ত হন। প্রায় তিন সপ্তাহ তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন কলকাতার বাড়িতে ছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ফিরে এ দিন জরুরি বৈঠক ডাকেন ডালু। বিধায়ক, জেলা নেতৃত্ব ও ব্লক সভাপতিরা সেখানে ছিলেন। আসন্ন বিধানসভা ভোটে দলের ফল যেন জেলায় ভাল হয় সে জন্য এখন থেকেই প্রচার শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়। বামেদের সঙ্গে জোট করেই লড়াই হবে বলেও সভায় মত প্রকাশ করেন অনেকে।
কংগ্রেসের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে নিয়ম, দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তন হলে ফের নতুন করে জেলা, ব্লক, অঞ্চল ও বুথ কমিটি সাজানো হয়। ফলে এ দিন ডালু নতুন করে নাম ঘোষণা করেন। বাকিরা অপরিবর্তিত থাকলেও গাজোল ব্লকের সভাপতি আরতি সরকারকে বদলে করা হয়েছে প্রেম চৌধুরীকে এবং রতুয়া ১ ব্লকে সুভাষ রায়ের বদলে সভাপতি করা হয়েছে পরিতোষ সিংহকে। এ দিন ডালু বলেন, ‘‘মাঝে অসুস্থতার জন্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করা যায়নি। এ দিন বৈঠক করে নাম ঘোষণার পাশাপাশি কমিটিগুলি ঢেলে সাজাতে বলা হয়েছে। আগামী বিধানসভা ভোটে গনি মিথকে ধরে রাখতে দলের ভাল ফলের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। এখন থেকেই আমরা প্রচার শুরু করে দেব।’’