রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রথম দিনের সফরের ট্রেন ধরতে ছুটছেন যাত্রী। মালদহ টাউন স্টেশনে। ছবি স্বরূপ সাহা।
মালদহ টাউন স্টেশনে আগরতলা-আনন্দবিহার তেজস সাপ্তাহিক রাজধানী এক্সপ্রেসের ‘স্টপ’ আদায়ের কৃতিত্ব নিয়ে এ বার ‘টানাটানি’ শুরু হল বিজেপির অন্দরে। মঙ্গলবার দুপুরে স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানে এর কৃতিত্ব ‘আমার’ বলে দাবি করেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক। অনুষ্ঠানে হাজির না থাকলেও ‘স্টপ’ আদায়ের কৃতিত্ব দাবি করেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীও।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, আগরতলা-আনন্দবিহার তেজস সাপ্তাহিক রাজধানী এক্সপ্রেস প্রতি মঙ্গলবার বেলা ৩টা নাগাদ মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছবে। সেখানে দশ মিনিটের জন্য ট্রেনটি দাঁড়াবে। মালদহের মতো ভাগলপুর, জামালপুর স্টেশনে স্টপ চালু হল। মালদহ থেকে দিল্লি মাত্র ১৯ ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে বলে জানান পূর্ব রেলের মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম বিকাশ চৌবে। তিনি বলেন, “ট্রেনটিতে ২০টি কোচ রয়েছে। যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে, দুটি বাড়তি কোচ জোড়া হয়েছে। ফরাক্কা এক্সপ্রেসে করে দিল্লি পৌঁছতে প্রায় ৪৩ ঘণ্টা সময় লাগে। তেজসে অনেক কম সময়ে পৌঁছনো যাবে।”
এ দিন ট্রেনের স্টপ নিয়ে রেলের তরফে মালদহ টাউন স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান হয়। রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, গোপাল সাহা। ট্রেনটির ‘স্টপ’ মালদহে দেওয়ার জন্য রেলমন্ত্রকে বহু বার চিঠি দেন বলে দাবি করেন খগেন, শ্রীরূপা দু’জনেই। গত লোকসভা ভোটে শ্রীরূপা দক্ষিণ মালদহের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। শ্রীরূপা বলেন, “ট্রেনটির জন্য আমি বহু বার চিঠি দিয়েছি। তবে ট্রেনের স্টপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিয়েছেন।” খগেন বলেন, “২০১৯ সাল থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের স্টপ নিয়ে রেলমন্ত্রকে চিঠি দিচ্ছি। অবশেষে ট্রেনের স্টপ চালু হল।” কংগ্রেসের আবু হাসেম খান চৌধুরীও বলেন, “মালদহের মানুষ জানেন, ট্রেনটি যাতে দাঁড়ায় সে জন্য আমি কত বার চেষ্টা করেছি।” কৃতিত্ব নিয়ে ‘টানাটানি’ চললেও রাজধানীর স্টপ পেয়ে খুশি জেলাবাসী। মালদহের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, “এমন একটা এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপে জেলাবাসীর সুবিধা হবে।”