প্রতীকী চিত্র।
সকালেই বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে আমগুড়ির গ্রামে গিয়েছিলেন ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। সন্ধেয় জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে দলের বৈঠকে যোগ দিতে এসে বললেন, ‘‘কোনও আলোচনা না করে পিকে কর্মসূচি স্থির করছেন, আর আমাদের চাকর-বাকরের মতো ছুটতে হচ্ছে।’’ পিকে-র বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ রয়েছে সে কথাও সরাসরি জানিয়েওছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা এত বছর ধরে নির্বাচন করে আসছি, পিকে-র উপদেশ আমাদের দরকার নেই।’’
কিছুদিন আগেই পিকের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তার পরে দলের নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না করলেও, পিকে যোগাযোগ করেছিলেন বলে অনন্তদেব জানিয়েছেন। তার প্রতিক্রিয়ায় অনন্তদেব বলেন, ‘‘আমি পিকে-র কথায় পাত্তা দিই না।’’
দিনকয়েক আগেই দলের মধ্যে পিকে-র কাজকর্ম নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়ে তাঁকে হুমকি দেন অনন্তদেব। এমনকি, বিধায়ক হিসেবে দলের কাজকর্ম থেকে বসে যাওয়ার হুমকিও দেন। তিনি সেদিন বলেন, ‘‘বাঙালিরা ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের তাড়িয়েছে। সেই বাঙালিকে পিকে রাজনীতি শেখাবে? আমি বহিরাগত পিকে-র উপদেশ শুনব না, প্রয়োজনে আমি আমি বসে যাব।’’ সেদিন তিনি আরও দাবি করেন, কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গোটা দল একসঙ্গে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়তে পারত। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সে সব না করে পিকে দলে বিভাজন করছে। পিকের জন্য সাংগঠনিক ক্ষতি হচ্ছে।’’
আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রী আসছেন জলপাইগুড়িতে৷ পরদিন জলপাইগুড়িতে কর্মিসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তার আগে দলের বিধায়ক বারবার মুখ খোলায় অস্বস্তিতে দল।