tmc

গৌতমে কি পথ মসৃণ হল বিপ্লবের

রং বদলে গেলেও বিপ্লবকে এখনও তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেই মানেন গৌতম। অবশ্য তাঁর কথায়, ‘‘বিপ্লবদা এখন অন্য একটা দলে রয়েছেন। তাঁকে নেওয়ার ব্যাপার রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবেন। দল নিলে আমার তো কোনও আপত্তি নেই।’’

Advertisement

নীহার বিশ্বাস

বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৭:৫৬
Share:

অর্পিতা ঘোষ এবং গৌতম দাস—ফাইল চিত্র

প্রাক্তন জেলা সভাপতি অধুনা বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গঙ্গারামপুরের কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাস। বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি পদ থেকে অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে গৌতমকে দায়িত্ব দেওয়ায় তাই বিপ্লবের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রং বদলে গেলেও বিপ্লবকে এখনও তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলেই মানেন গৌতম। অবশ্য তাঁর কথায়, ‘‘বিপ্লবদা এখন অন্য একটা দলে রয়েছেন। তাঁকে নেওয়ার ব্যাপার রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবেন। দল নিলে আমার তো কোনও আপত্তি নেই।’’
গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিপ্লব ও অর্পিতার কাজিয়া শুরু হয়। দু’জনের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্ব অর্পিতাকে প্রার্থী করলে বিপ্লব বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। অভিযোগ, প্রার্থী হতে না পারায় নির্বাচনে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিলেন বিপ্লব এবং তাঁর অনুগামীরা। ফলে অর্পিতার জেতা-আসনে পরাজিত হয় তৃণমূল। অর্পিতার পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতির পদ ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিপ্লব। বিপ্লবের ছেড়ে আসা পদে অর্পিতাকে বসান তৃণমূল নেতৃত্ব।
কিন্তু বিপ্লবের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যায়, বিজেপি থেকে কাঙ্ক্ষিত গুরুত্ব না পেয়ে তিনি আবার তৃণমূলে ফেরার বার্তা দেন। এমনকি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দলে ফেরার বিষয়টি প্রায় ‘চূড়ান্ত’ করে ফেলেন। কিন্তু দলেরই কর্মীদের একাংশের মতে, লোকসভা নির্বাচনে বিপ্লবের ‘গদ্দারির’ কথা মনে রেখে অর্পিতা তা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানান। এখন সেই অর্পিতাকেই জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করার ফলে বিপ্লবের পথ খানিকটা মসৃণ হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
বিপ্লবের দলে ফেরার গুঞ্জনে নতুন মাত্রা দিয়েছে, শুক্রবারের দিল্লিতে বিজেপির বৈঠক। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতে গিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিপ্লবের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে তদ্বির করেন। সুকান্ত বলেন, ‘‘ওঁকে নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়ার জন্য আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি। বাকিটা কেন্দ্রের বিষয়।’’ তবে বিপ্লবের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি তাঁকে নিরাপত্তা দিলেও তিনি আর বিজেপিতে থাকবেন না। বরং খুব দ্রুত তৃণমূলে যোগ দেবেন। গৌতমও কিছুটা হেঁয়ালির সুরেই বলেন, ‘‘ভবিষ্যৎই এর উত্তর দেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement