MJN Hospital

কোচবিহার মেডিক্যালে উঠল ‘অনিয়মের’ নালিশ

খাবারের বিল ‘যথাযথ’ ভাবে মিলছে না। নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ওয়ার্ড থেকে খাবারের জন্য লিখিত ভাবে ‘রিকুইজ়িশন’ দেওয়া উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না ও সেই বিল ঠিক ভাবে দেখা হচ্ছে না।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ০৭:২০
Share:

—ছবি সংগৃহীত।

নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠল কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালের প্রাক্তন অ্যাকাউন্টস অফিসার নুরউদ্দিন মল্লিক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের কাছে সে সব অভিযোগ করেছেন। আঙুল উঠেছে হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (এমএসভিপি) রাজীব প্রসাদের দিকে। তা নিয়ে পড়েছে শোরগোল। যদিও অভিযোগ মানেননি এমএসভিপি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

লিখিত অভিযোগে প্রাক্তন অ্যাকাউন্টস অফিসার দাবি করেছেন, কোনও অজ্ঞাত কারণে নিরাপত্তাকর্মী, ‘হাউস কিপিং’, পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বিল আটকে রাখা হয়েছে। খাবারের বিল ‘যথাযথ’ ভাবে মিলছে না। নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ওয়ার্ড থেকে খাবারের জন্য লিখিত ভাবে ‘রিকুইজ়িশন’ দেওয়া উচিত। কিন্তু তা হচ্ছে না ও সেই বিল ঠিক ভাবে দেখা হচ্ছে না। অভিযোগ তোলা হয়েছে রোগীদের বিছানাপত্র পরিষ্কারের (লিনেন ওয়াশিং) বিল নিয়ে। ২০১৬-১৭ সালে ওই খাতে কোচবিহার মেডিক্যালে খরচ হত ১০ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৬৫ টাকা। ২০১৯-২০ সালে তা হয় ৬৩ লক্ষ ৯৯ হাজার ২১৫ টাকা। এমএসভিপি বলেন, ‘‘খরচ বাড়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, এখন প্রতিদিন বিছানার চাদর থেকে যাবতীয় জিনিসপত্র বদল করা হয়।

আরও অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের টেন্ডার নিয়ে। সঙ্গে ‘পিপিপি’ মডেলে চলা ‘এমআরআই’, ‘সিটি স্ক্যান’, ‘ডায়ালিসিস’, ‘ডিজিটাল এক্স-রে’ পরিচালনায় সরকারি নির্দেশিকা মেনে নোডাল অফিসার নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, এমএসভিপি সরকারি গাড়ি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে নকশালবাড়িতে তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করেন। তা গাড়ির ‘লগবুক’-এ উল্লেখ থাকে না। ওই গাড়ি কোচবিহারেই ব্যবহার হচ্ছে বলে দেখানো হয়। ছুটির দিনেও সরকারি গাড়ি ব্যবহার হয় বলে অভিযোগ। এমএসভিপি বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগের গুরুত্ব নেই। সব সরকারি নিয়ম মেনে হচ্ছে। সমস্ত নথি আমার কাছে রয়েছে।’’

Advertisement

এমএসভিপির বক্তব্য, ‘‘কোথাও অনিয়ম হয়নি। যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর সময়কালেই তিনি বিল পাশ করেছেন। তখন আপত্তি করেননি।’’ প্রাক্তন অ্যাকাউন্টস অফিসার বলেন, ‘‘যা অভিযোগ জানানোর, নির্দিষ্ট জায়গায় জানিয়েছি।’’ হাসপাতালের বর্তমান অ্যাকাউন্টস অফিসার দীপক সরকার বলেন, ‘‘সদ্য কাজে যোগ দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে জানা নেই। আমি পরীক্ষা করে, বিল ছাড়া শুরু করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement