মোহিতের দুই ঘনিষ্ঠের নামে নালিশ

একা মোহিত সেনগুপ্তই নন। এ বারে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহিতবাবুর দুই অনুগামী বলে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ বিশ্বাস ও জেলা যুব কংগ্রেসের সহকারী সভাপতি তুষার গুহের বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০২:০২
Share:

একা মোহিত সেনগুপ্তই নন। এ বারে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক তথা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহিতবাবুর দুই অনুগামী বলে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ বিশ্বাস ও জেলা যুব কংগ্রেসের সহকারী সভাপতি তুষার গুহের বিরুদ্ধেও জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করল পুলিশ।

Advertisement

মোহিতবাবুর বিরুদ্ধে রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক থেণ্ডুপ নামগিয়েল শেরপা ক্ষমতার অপব্যবহার, বিশ্বাসভঙ্গ, সরকারি টাকা অপব্যবহারের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্দীপবাবু ও শহরের ইন্দিরাকলোনি এলাকার বাসিন্দা তুষারবাবুর বিরুদ্ধে গাড়ি চাপা দিয়ে ও গুলি করে খুনের চেষ্টা, মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। সন্দীপবাবু ও তুষারবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের এক কর্মীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। তৃণমূলের ওই কর্মীর নাম প্রিয়ঙ্কর ঘোষ। প্রিয়ঙ্করবাবু জেলা তৃণমূলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক তথা ২১ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা তপন নাগের অনুগামী বলে পরিচিত।

রায়গঞ্জ থানার আইসি দীপেন তামাঙ্গ বলেন, তদন্তে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হলে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।

Advertisement

সন্দীপবাবু ও তুষারবাবুর দাবি, পুরসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেস নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুরসভা দখল করতে পারবে না। তাঁরা আইনের পথে লড়ছেন।

প্রিয়ঙ্করবাবুর দাবি, গত বৃহস্পতিবার তিনি ও তপনবাবু সহ তৃণমূলের একদল কর্মী ২১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাথমিক স্কুলের সামনে দলের উদ্যোগে আয়োজিত একটি রক্তদান শিবির কর্মসূচি প্রচারের ফ্লেক্স ও হোর্ডিং লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় সন্দীপবাবু, তুষারবাবু সহ অজ্ঞাতপরিচয় একদল যুবক একটি ছোট গাড়ি নিয়ে তাঁদের চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা করেন। তাঁরা লাফিয়ে প্রাণে বাঁচেন। এরপর অভিযুক্তরা গাড়ি থেকে নেমে প্রিয়ঙ্করবাবুকে বেধড়ক মারধর করে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দেন।

সেই সময় এক মহিলা তৃণমূল কর্মী প্রতিবাদ করলে সন্দীপবাবু, তুষারবাবু সহ অজ্ঞাতপরিচয় যুবকেরা মহিলা কর্মীদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। প্রিয়ঙ্করবাবু মহিলাদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে সন্দীপবাবু ও তুষারবাবু তাঁদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র থেকে তাঁকে লক্ষ করে দু’রাউন্ড গুলি চালিয়ে খুনের চেষ্টা করেন। তাঁর গুলি না লাগায় প্রাণে বেঁচে যান। আতঙ্কে তৃণমূলের কর্মীরা চিত্কার শুরু করলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তপনবাবুর পরামর্শে বৃহস্পতিবার রাতে প্রিয়ঙ্করবাবু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement