বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় প্রহৃত হলেন দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা। তাঁর মাথায় ইট গিয়ে আঘাত করে, পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে মালদহের ইংরেজবাজার থানার চন্ডীপুরের কর্মনী গ্রামের ঘটনা।
আক্রান্ত মহিলা শম্পা মণ্ডল গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত সাগর মণ্ডলের নামে মালদহ মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত বধূর পরিবারের লোকেরা। সাগরের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পাঁচ বছর আগে মোথাবাড়ির রথবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমন্ত মণ্ডলের মেয়ে শম্পার সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় শ্রমিক সাগর মণ্ডলের। তাঁরা দু’জনেই বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। অভিযোগ, বছর খানেক ধরে গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে সর্ম্পক তৈরি হয়েছে সাগরের। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়শই বিবাদ লেগে থাকত।
এই ঘটনার কারণে ছ’মাস আগে শম্পা তাঁর বাবার বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে চলে যান। পরে দু’পরিবারের মধ্যে আলোচনার পর ফের বাড়ি ফিরে আসেন শম্পা। তারপরেও সাগর ওই মহিলার সঙ্গে গোপনে সর্ম্পক রেখে চলছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে শম্পা প্রতিবাদ করলে সাগর ইট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে। এমনকী, তাঁর পেটেও লাথি মারে সাগর। মহিলার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যেরা ছুটে এলে পালিয়ে যায় সাগর। শম্পাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শম্পা দেবী বলেন, ‘‘ওই মহিলার সঙ্গে সর্ম্পক রাখব না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারপরেও সর্ম্পক রয়েছে।’’ অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আক্রান্ত মহিলার মা তারা দেবী।