—প্রতীকী চিত্র।
গাড়ি আটকে প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য চোপড়ার অশোক রায়-সহ কয়েক জন কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল ‘তৃণমূল-আশ্রিত’ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে সে ঘটনার প্রতিবাদে চোপড়ার লালবাজার এলাকায় অবরোধ-বিক্ষোভ করেন স্থানীয়েরা। যদিও ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে দুষ্কৃতীরা চোপড়ার প্রত্যন্ত এলাকায় তাঁদের ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে দাবি করেন অশোক। ইসলামপুর হাসপাতালে অশোক-সহ অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। তৃণমূলের তরফে গোটা বিষটি ‘নাটক’ বলে দাবি করা হয়েছে।
ইসলামপুর জেলা পুলিশের সুপার যশপ্রীত সিংহ বলেন, ‘‘অশোকের খোঁজ মিলেছে। ওঁদের সঙ্গে কথা বলে সব বিস্তারিত জানা হবে।’’
অশোকের দাবি, এ দিন বিকেলে চোপড়া থানায় যাচ্ছিলেন তাঁরা। হাতিঘেঁষা মোড় এলাকায় দুষ্কৃতীরা পথ আটকায়। অভিযোগ, মারধর, গাড়ি ভাঙচুর করে অশোক রায়, মহিলা কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মুসকান পারভিন ও কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিকীকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। কিছুটা দূরেই সিপিএম নেতাদের গাড়ি আটকে সেখান থেকে তাদের দুই কর্মীকেও দুষ্কৃতীরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ।
ইসলামপুর হাসপাতালে ফিরে অশোক বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষীপুরের রামপুর এলাকায় নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে আমাকে একাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। সঙ্গীদের না নিয়ে ফিরতে চাইনি। আড়াই ঘণ্টা পরে, সবাইকে রামপুর স্কুলে ছেড়ে পালায় তারা।’’
অশোকের দাবি, এলাকায় কংগ্রেস-সিপিএম সমঝোতা করে পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিচ্ছে। তাই তৃণমূল এই কাজ করেছে। সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আনওয়ারুল হকের দাবি, ‘‘চোপড়ার সব ক’টি পঞ্চায়েতে বামফ্রন্ট, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে। আমাদের কর্মীদের পাশাপাশি, অশোক রায়কেও অপহরণ করেছিল তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।’’
তবে চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুল রহমান বলেন, ‘‘ওঁরা নাটক করছেন। মনোনয়ন জমার সময় ছিল বিকেল ৩টে পর্যন্ত। তার পরে, ওই ঘটনা। এটা নাটক ছাড়া, কী বলব!’’
কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘রাজনৈতিক হিংসা ও রক্তক্ষরণ ছাড়া, তৃণমূল ভোট করতে পারে না। বিষয়টি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও জানানো হয়েছে।’’