প্রতীকী চিত্র
করোনায় মৃত্যু হয়েছে বাবার। মা করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে। কলেজ পড়ুয়া ১৯ বছরের ছেলে বাবার মৃত্যুসংবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছেন না মাকে। শুক্রবার বিকেলে দূর থেকে প্লাস্টিকে মোড়া বাবার নিথর দেহ দেখানো হয়েছে তাঁকে। সরকারি নিয়ম মেনে সাহুডাঙী শ্মশানে সৎকার করা হয় দেহ।
শুক্রবার ভোররাতে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে মৃত্যু হয় ময়নাগুড়ির বাসিন্দা, এক পুলিশ কনস্টেবলের। পরিবার সূত্রের খবর, কোচবিহার পুলিশ লাইনে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় ১৮ জুলাই তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেও ফের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
ওই কনস্টেবলের ছেলে বলেন, ‘‘আমার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মায়ের রিপোর্ট পজিটিভ আসায় জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাবা নেই, মাকে জানাব কী করে! মায়ের তো আবার শ্বাসকষ্টের সমস্যাও রয়েছে। কী যে হবে, কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক জানান, ময়নাগুড়ির এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে। তবে বিস্তারিত রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত আসেনি।
এ দিকে, ময়নাগুড়িতে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিনই। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংক্রমণ বাড়লেও ভিড় কমেছে না ময়নাগুড়িতে। গাদাগাদি করে মাছ ও আনাজ কেনা। ভিড় হচ্ছে মুদি ও অন্য দোকানেও। সামাজিক দূরত্ব শিকেয় উঠেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত পর্যন্ত নতুন করে আরও ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।