তিস্তা নদীর উপর তৈরি আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ জয়ী ব্রিজ। —নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে কোচবিহার জেলার দুটি সেতু উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রান্তিক জেলা কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এবং সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে সিতাই আদাবাড়ি ঘাটে দেবী কামতেশ্বরি সেতু এবং মেখলিগঞ্জে জয়ী সেতুর উদ্বোধন হল শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চ থেকে।
কোচবিহার ও দিনহাটা থেকে সিতাই, শীতলকুচি যাওয়ার জন্য বহু পথ ঘুরে যেতে হত কোচবিহার ও দিনহাটার বাসিন্দাদের। একইভাবে কোচবিহার ও মেখলিগঞ্জ থেকে হলদিবাড়ি যেতেও ঘুরতে হত দীর্ঘ রাস্তা। কোচবিহারের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মেখলিগঞ্জ-হলদিবাড়ি এবং দিনহাটা-সিতাই এর যোগাযোগের জন্য দু’টি সেতু তৈরির। অবশেষে অবসান হল সেই অপেক্ষার। উদ্বোধন হয়ে গেল জয়ী সেতু এবং দেবী কামতেশ্বরি সেতুর। উদ্বোধনের দিন সকাল থেকেই স্থানীয় মানুষের ভীড় উপচে পড়ে সেতু চত্বরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি থেকে রিমোটের মাধ্যমে এই দুটি সেতুর উদ্বোধন করেন। সেতু দুটি উদ্বোধন হয়ে যাওয়ায় খুশি সিতাই এবং মেখলিগঞ্জের বাসিন্দারা।
শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা মঞ্চে এই ব্রিজ দু’টির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই দুই সেতু কোচবিহারের যোগাযোগ মানচিত্রে বিপুল পরিবর্তন আনবে। জয়ী সেতুর জন্য প্রায় ৮৫ কিলোমিটার পথ কমে যাবে কোচবিহারবাসীর জন্য।’’
মানসাই নদীর ওপর কামতেশ্বরী সেতু। —নিজস্ব চিত্র
ঘটনাচক্রে তিস্তা নদীর উপর জয়ী সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। খরচ হয়েছে প্রায় ৪১৫ কোটি টাকা। প্রায় পাঁচ বছর পর সেই সেতু খুলে গেল জনসাধারণের জন্য। অন্য দিকে মানসাই নদীর উপর কামতেশ্বরী সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। কিন্তু ৯৪৪ মিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে নানা জটিলতায় সময় লেগেছে ৮ বছরেরও বেশি। খরচ হয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।