নার্সিংহোমে ভর্তি মাজিদ আনসারি
কোচবিহার শহরে গুলিবিদ্ধ কোচবিহার কলেজের ছাত্র মাজিদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফিরেছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মাজিদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। মাজিদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি। আমরা ওই ছাত্রের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নিয়মিতভাবে নজর রেখে চলেছি।’’
রবিবারই গৌতমবাবু গিয়েছিলেন ওই ছাত্রকে দেখতে। মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রী তার প্রতিনিধিদের আবারও হাসপাতালে পাঠান। এ দিন মাজিদের শারীরিক পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার তাঁকে চিকিৎসকেরা দীর্ঘক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মাজিদের কিডনি এখনও খুব ভাল কাজ করছে না। সরাসরি রক্তও নিতে পারছে না ওই ছাত্র। তার জন্য রক্তের উপাদান আলাদা করে তার শরীরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত না থাকায় ডায়ালিসিসও ভালভাবে করা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি আগের চেয়ে একটু ভাল। গত তিন দিনে সেরকমভাবে চিকিৎসায় সাড়া দিতে পারছিল না মাজিদ। রক্তচাপও স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম ছিল। মঙ্গলবার সেই পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়। তবে এখনও বিপন্মুক্ত নয় ওই ছাত্র। চিকিৎসার সবরকম চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসকেরা।
আপাতত ভেন্টিলেশনে ওই ছাত্রের কেবিনে পরিবার বা খুব নিকট আত্মীয়ছাড়া বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না নাসিংহোমের তরফে। শুক্রবার বিকেলে কোচবিহার কলেজ থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিল ওই ছাত্র। অভিযোগ ওঠে, শাসক দলের দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটে। শনিবার কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেদিন থেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে ভর্তি রয়েছেন মাজিদ। নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটে গুলি লেগে মাজিদের কিডনি, খাদ্যনালী, ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রে চোট রয়েছে। গুলি বের করে চিকিৎসা চলছে।
যদিও চিকিৎসায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মাজিদের পরিজনেরা। মঙ্গলবার ওই ছাত্রের দাদা সাজিদ দেখতে যান তাঁর ভাইকে। তারপর তিনি বলেন, ‘‘ভাই আগের চেয়ে একটু ভাল রয়েছে। কথা বলার চেষ্টা করছে। ডাকলে অল্প সাড়াও দিচ্ছে। এখন এর থেকে বেশি আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’’