সাফাই: পথে কো-অর্ডিনেটর মানিক দে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র।
দু’দিন ধরে রাস্তায় জঞ্জাল ছড়িয়ে দেওয়া, পুরসভার গাড়ি ভাঙচুরের পরে অবশেষে ঘুম ভাঙল পুরসভার। বুধবার ও বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা দায়ের করল শিলিগুড়ি পুরসভা। শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও পুরসভার আলোচনায় বসে মন্ত্রী গৌতম দেব এদের বিরুদ্ধে কড়া হওয়ার কথা বলেন। সাফাইকর্মীদের আন্দোলনে বহিরাগত শক্তি ইন্ধন জোগাচ্ছে বলেও দাবি পুরপ্রশাসক অশোক ভট্টাচার্য ও মন্ত্রী গৌতমের।
শুক্রবার দুপুরে মন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আলোচনায় ডাকা হয়। পুরসভার তিনটি ট্রেড ইউনিয়ন থাকলেও আসেননি সাফাইকর্মীদের আন্দোলনের মূল মাথা কিরণ রাউত। তাঁর কথা, ‘‘আলোচনায় বসতে হলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, না হলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসব। মন্ত্রী গৌতম দেবের আলোচনায় যাব না।’’ তাঁর নির্দেশে আলোচনায় যাননি আন্দোলনে থাকা অন্য প্রতিনিধিরাও।
তিন দিন হয়ে গেল শহরের আবর্জনা সাফ না। এই অবস্থায় এ দিন মন্ত্রী পুর-প্রতিনিধিদের বলেন, ‘‘বিকল্প ব্যবস্থা করুন। আলোচনায় বসে দাবি পূরণ করুন।’’ আন্দোলকারীদের প্রতি মন্ত্রীর বার্তা, ‘‘এমন ঔদ্ধত্য দেখাবেন না। করোনা এখনও যায়নি। এমন ভাবে আবর্জনা পড়ে থাকলে নানা রোগ ছড়াতে পারে শহরে।’’ এদিনের আলোচনা শেষে প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য মুকুল সেনগুপ্ত জানান, ‘‘গাড়ি ভাঙা হচ্ছে। যাঁরা কাজ করতে চাইছেন, তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ সব কোনও প্রশাসন মেনে নেয় না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিকল্প ব্যবস্থাও ভাবা হয়েছে। রাতে আবর্জনা তোলা হচ্ছে।’’
শুক্রবার সকালে বাঘাযতীন পার্কের সামনে কয়েকশো সাফাইকর্মী বিক্ষোভ দেখান। তবে অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় কিছু সাফাইকর্মী কাজে গেলেও তাঁদের রোখা হচ্ছে। মন্ত্রীর ওয়ার্ডেও সাফাইকর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি। এখানে বহিরাগতরা ইন্ধন জোগাচ্ছে বলেও অভিযোগ। মন্ত্রীর দাবি, ‘‘ঘোলা জলে অনেকেই মাছ ধরতে চাইছে।’’ স্পষ্ট করে না বললেও এর পেছনে বিজেপির দিকে ইঙ্গিত করছে বাম-তৃণমূল শিবির। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে বিজেপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে।