কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। নিজস্ব চিত্র।
আদালতে দাঁড়িয়ে উলটপুরাণ নির্যাতিতার! যার জেরে আর্থিক প্রতারণার মামলা থেকে ক্লিনচিট পেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা সাংসদ জন বার্লা। একই সঙ্গে মহিলার বয়ান বদলের জেরে ধর্ষণের মামলায় জামিন পেলেন মূল অভিযুক্ত জয়চাঁদ আগরওয়াল। মঙ্গলবার নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি আদালত।
গত ২৮ জুলাই ডুয়ার্সের বিজেপি-ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে বানারহাট থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন আদিবাসী এক মহিলা। অভিযুক্তকে আড়াল করতে জন বার্লা কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে। ঘটনার কয়েক দিনের মাথায় গত ৪ অগস্ট বানারহাটে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে ওই মহিলার দাবি, তাঁকে অন্ধকারে রেখে বয়ান নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিশ। জন বার্লার নামে তাঁকে দিয়ে জোর করে অভিযোগ করানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে এসে সে দাবি আরও জোড়ালো করেন মহিলা। আদালতেও তাঁর দাবি, তিনি কারও বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত জয়চাঁদ আগরওয়ালকে মঙ্গলবার ঈশ্বরের সঙ্গে তুলনা করে তাঁর আরও দাবি, ‘‘জয়চাঁদ আগরওয়ালের বাড়িতে ছোট থেকে বড় হয়েছি। সাংসদ তথা মন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।’’ এমনকি, জন বার্লা তাঁকে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করেছেন বলেও দাবি মহিলার।
এই মামলায় জয়চাঁদের আইনজীবী ঐত্রেয়ী শর্মার দাবি, ‘‘মহিলাকে দিয়ে জোর করে অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার গোপন জবানবন্দিতে মহিলা দাবি করেছেন যে এই মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সুতরাং মামলার মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালকে যদি জামিন দেওয়া হয়, তা হলে তার কোনও আপত্তি থাকবে না।’’ মহিলার বয়ান বদলের ফলে মঙ্গলবার জামিন পেয়ে যান অভিযুক্ত ব্যবসায়ী জয়চাঁদ। মামলায় সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল বলেন, ‘‘এই জামিনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন জানাব আমরা।’’