চিকিৎসাধীন সিভিক ভলান্টিয়াররা। নিজস্ব চিত্র
মদ্যপ হয়ে সিভিককর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল এক বিএসএফ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সিভিককর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার রাতে মালদহের হবিবপুর থানার বিজইল গ্রামে। বুধবার ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফ আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিএসএফ আধিকারিক।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় আহত হন হবিবপুর থানার পাঁচ সিভিককর্মী। তাঁদের বাড়ি হবিবপুর থানারই বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী দাল্লা, বিজইল গ্রামে। আহত হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির সন্তোষ সরেন। সকলে ভর্তি বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে। মারধরে অভিযুক্ত বিএসএফ আধিকারিক দলজিৎ সিংহের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
হবিবপুর ব্লকের কেন্দপুকুর স্ট্যান্ড এলাকায় কর্মরত ছিলেন ওই সিভিককর্মীরা। রাত ১০টা নাগাদ একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, মাঝরাস্তায় তাঁদের পথ আটকান বিএসএফের ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সহকারী কম্যান্ডান্ট দলজিৎ। মদ্যপ অবস্থায় সিভিককর্মীদের প্রথমে গালিগালাজ ও পরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, সিভিককর্মীদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপির স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। হবিবপুর থানার পুলিশ গিয়ে সিভিককর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনায় বিএসএফ জওয়ানদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের একাংশের দাবি, তল্লাশির নামে মাঝেমধ্যেই গ্রামবাসীদের মারধর করা হয়। আক্রান্ত হলেও ভয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে পারেন না। সন্তোষ বলেন, “সিভিককর্মীদের মারধর করতে দেখে বাধা দিতে গেলে আমাকেও মারধর করেন বিএসএফ আধিকারিক।” সিভিককর্মীরা ইউনিফর্ম পরে থাকার পরেও কেন তাঁদের মারধর করা হল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
অভিযুক্ত বিএসএফ আধিকারিক দলজিৎ সিংহ বলেন, “মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।” ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফ কর্তারাও।