—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সিভিক-কর্মীদের। জেলার অন্য কোনও হাসপাতালেও আর নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন না সিভিকেরা। আলিপুরদুয়ার জেলার বড় হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত নজরদারির প্রশ্নে সিভিকদের বিকল্প হিসাবে আপাতত দায়িত্ব বাড়ল হোমগার্ডদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, আর জি করের ঘটনা নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুংবংশী বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।” আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের অন্দরে কয়েক বছর আগেই টাউন পুলিশ ফাঁড়ি স্থানান্তরিত করা হয়। তখন থেকেই জেলা হাসপাতাল চত্বরে চলছে সেই ফাঁড়ি। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ফাঁড়িতে এএসআই, কনস্টেবলদের পাশাপাশি, নানা সময়ে তিন থেকে চার জন সিভিকও থাকতেন। সম্প্রতি সেই সিভিকদের সেই ফাঁড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলার আরও দু’টি বড় হাসপাতাল ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে কোনও পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি হয়নি ঠিকই, কিন্তু ২৪ ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে পুলিশের নজরদারি চলে। সে কাজেও বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করা হত সিভিকদের। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির মতো জেলার ওই দুই হাসপাতাল থেকেও নজরদারির দায়িত্বে থাকা সিভিকদের তুলে নেওয়া হয়েছে।