থানার সামনে বিক্ষোভে সিভিক ভলান্টিয়াররা। —নিজস্ব চিত্র।
কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল থানার মেজোবাবুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি থানায়। মঙ্গলবার সহকর্মীদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সন্তোষ ঘোষ নামে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। পাল্টা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মত্ত অবস্থায় ছিলেন সন্তোষ। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। এক আসামিকে পুলিশের গাড়িতে তোলা নিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার সন্তোষের সঙ্গে ‘গন্ডগোল’ হয় থানার মেজোবাবু চন্দ্রনাথ বটব্যালের। সন্তোষের অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছেন চন্দ্রনাথ। মেজোবাবুর সঙ্গে ছিলেন এএসআই শরিফুল হক। অভিযোগকারী সিভিক ভলান্টিয়ারের অভিযোগ, মারধরের পরে জোরপূর্বক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মত্ত অবস্থায় তিনি ‘ডিউটি’ করছেন, এই মিথ্যাকে সত্যি প্রমাণ করার চেষ্টা চলে। তাঁর দাবি, ‘‘চিকিৎসক ওই কাজ করত অস্বীকার করেন। তখন আমায় থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং কিছু সময় পর তাঁকে চলে যেতে বলা হয়।’’
সিভিক ভলান্টিয়ার জানান, ওই ঘটনার কথা তিনি সহকর্মীদের জানান। তার পর মঙ্গলবার সকালে থানার প্রায় ৩০০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার কর্মবিরতি ঘোষণা করে থানার সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তাঁরা দাবি জানান, জেলার পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওই ঘটনার তদন্ত করে দেখুন। অভিযোগকারী সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, ‘‘আমার মতো যেন অন্য কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার সমস্যায় না পড়েন। আমার সঙ্গে ওঁর পুরনো ঝামেলা রয়েছে। আমায় দিয়ে অনৈতিক কাজ করাতে চেয়েছিলেন। আমি রাজি হয়নি বলে রাগ।’’ তিনি অভিযোগ করেন, থানার মেজোবাবু এবং এএসআই মিলে তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। চলে কিল-চড়ও। তিনি বলেন, ‘‘আমার ঘাড় এবং বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। এখনও চিকিৎসা করাতে পারিনি।’’
অন্য দিকে, এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপারের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়, পুন্ডিবাড়ি থানার ওই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তদন্ত করেছেন। তাতে জানা গিয়েছে যে, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয় রাতে। শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং থানায় বিক্ষোভের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমস্ত অফিসার এবং পুলিশ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।