bjp

থানায় মৃত্যুর তদন্ত করবে সিআইডি

সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার পঙ্কজকে ওই মামলার সমস্ত নথি ঠিকঠাক ভাবে তৈরি রাখার নির্দেশ দেন। রায়গঞ্জ থানার অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশকর্মীকে উদ্বেগে না থেকে আইনশৃঙ্খলা সামলানোর কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৪১
Share:

ফাইল চিত্র

পুলিশ হেফাজতে ইটাহারের নন্দনগ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রে এমনই খবর মিলেছে। সোমবার দুপুরে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসপ্রীত সিংহের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি দল রায়গঞ্জ থানায় যায়। সেখানে তাঁরা ওই ঘটনায় ইটাহার থানার তদন্তকারী অফিসার পঙ্কজ ঝাঁকে তলব করে বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেন। সিআইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার পঙ্কজকে ওই মামলার সমস্ত নথি ঠিকঠাক ভাবে তৈরি রাখার নির্দেশ দেন। রায়গঞ্জ থানার অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশকর্মীকে উদ্বেগে না থেকে আইনশৃঙ্খলা সামলানোর কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন।
পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে ওই যুবককে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ায় সরকারি নির্দেশে নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ওই মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হবে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।”
২ সেপ্টেম্বর রাতে রায়গঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে নন্দনগ্রামের বাসিন্দা অনুপকুমার রায় নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ, খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই দিন রাতে পরিবারের লোকেদের অনুপস্থিতিতে তড়িঘড়ি অনুপের দেহের ময়নাতদন্ত করে পুলিশ। পরদিন রায়গঞ্জ থানার পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় অনুপকে অত্যাচার করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর মা গীতা।
পাশাপাশি, তিনি পুলিশের কাছে অনুপের মৃতদেহ কলকাতার কোনও হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ফের ময়নাতদন্ত করানোর লিখিত দাবি জানান। ওইদিন রাতেই ইটাহার থানার পুলিশ রায়গঞ্জ থানার অভিযুক্ত ওই পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুন ও অপহরণের মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার পুলিশ অনুপের দেহের ফের ময়নাতদন্ত করায়।
পুলিশ সুপারের দাবি, কলকাতার একটি ল্যাবরেটরি থেকে ভিসেরা পরীক্ষার রিপোর্ট আসলেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। পুলিশ সুপার বলেন, “তাঁকে রায়গঞ্জ থানায় জিঞ্জাসাবাদের সময় তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে। পুলিশ তাঁর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন মেনে ওই পাঁচ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে খুন ও অপহরণের মামলা দায়ের করেছে।”
বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “সিআইডি পুলিশেরই একটি শাখা। তাই সিআইডি তদন্ত হলে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তি হবে না। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিজেপির আন্দোলন জারি থাকবে। প্রয়োজনে আদালতে যাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement