জ্বরে আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু, ভয় ডেঙ্গির

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফের জয়গাঁর এক শিশুর মৃত্যু হল। যে ঘটনাকে ঘিরে শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়াল আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিল শিশুটি। এ দিন সন্ধ্যায় শিশুটির মৃত্যু হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার পরিজনরা। খবর পেয়ে হাসপাতাল ফাঁড়ির পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ হাসপাতালে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

বেশ কিছু দিন থেকেই জয়গাঁতে ব্যাপক হারে ডেঙ্গি ছড়াতে শুরু করেছে। ডেঙ্গির পাশাপাশি ভুটান সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকার প্রচুর মানুষ জ্বরেও ভুগছেন। ফলে প্রতিদিনই ডেঙ্গি ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের কালচিনি গ্রামীণ হাসপাতাল ও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়গাঁর বাসিন্দা জনসন দর্জি নামে চার বছরের শিশুকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ দিন সন্ধ্যা পৌনে ছ’টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। জনসনের এক দাদুর অভিযোগ, এদিন দুপুরেও চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ‘‘আমার নাতি সুস্থ হয়ে উঠছে। কিন্তু সন্ধ্যায় আচমকাই সিস্টাররা জানান তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা নিশ্চিত, চিকিৎসার গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে।’’

দিন কয়েক আগেই জয়গাঁয় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর এ দিন ফের এলাকার এক শিশুর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার রাজা সাহা বলেন, জ্বরে আক্রান্ত হয়েই শিশুটি আমাদের এখানে এসেছিল। শিশুর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোও হয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। জয়গাঁতে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গি জেলার অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশংকায় এবার আলিপুরদুয়ারের প্রতিটি ব্লককেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল প্রশাসন।

Advertisement

কেননা, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা জলপাইগুড়িতে বাড়ছে বলেই অভিযোগ উঠেছে। জলপাইগুড়ি জেলায় বর্তমানে ১৬৮ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্য দফতর প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার ব্লকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। মালবাজার ব্লকে ৬২ জন ও মাল পুরসভা এলাকায় ২ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। এ ছাড়াও নাগরাকাটা ব্লকে ১২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার মেটেলি ব্লকে এখনও পর্যন্ত ২১ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। ধূপগুড়ি ব্লকে ৯, ময়নাগুড়িতে ৫, রাজগঞ্জে ১২, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে ১০, জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকায় ৩ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement