প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পরে অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন শিশুকন্যাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি। মঙ্গলবার বিকেলে রায়গঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (২) আদালতে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম আইনুল হক। বাড়ি রায়গঞ্জের ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিচারক ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় মিত্র তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২ ডিসেম্বর আইনুল এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
ওই শিশুর বাবা রায়গঞ্জ মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তার পর থেকেই ফেরার ছিলেন। ওই শিশুকন্যার বাবার অভিযোগ, প্রথম দিকে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে টালবাহানা করেছিল। নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদেরই অভিযুক্তকে ধরে আনতে বলা হয়। বলা হয় মামলার সাক্ষী জোগাড় করতেও। এর পরে ৬ জানুয়ারি শিশুকন্যার পরিবারের লোকেরা রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় রায়গঞ্জের ডিএসপি প্রসাদ প্রধানের সঙ্গে দেখা করে স্থানীয় থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ জানান। পাশাপাশি, তাঁরা ডিএসপির কাছে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করারও দাবি জানান।
শিশুকন্যার পরিবারের লোকেদের নালিশ, এর পরেও অভিযুক্তের পরিজনেরা ১ লক্ষ টাকা নিয়ে ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চাপ দেন। সপ্তাহ দু’য়েক আগে ফের শিশুকন্যার পরিবারের লোকেরা রায়গঞ্জ মহিলা থানায় গিয়ে ওই অভিযোগ জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, এর পরেই মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তাঁর বাড়িতে ঘনঘন তল্লাশি শুরু করেন। সেই চাপেই অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘পকসো’ আইনে মামলা দায়ের করেছে। মহিলা থানার তরফে অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, পুলিশের তল্লাশির চাপেই ওই ব্যক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন।
শিশুকন্যার বাবার কথায়, ‘‘পুলিশের কাছে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছি।’’ আইনুলের আইনজীবী দীপক দাসের দাবি, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরে তাঁর মক্কেলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।