ফাইল চিত্র।
হলদিবাড়ি-চিলাহাটি লাইনে প্রথম যাত্রিবাহী ট্রেন হিসেবে চালু হতে পারে মৈত্রী এক্সপ্রেস। মার্চ মাস থেকে নতুন একটি মৈত্রী এক্সপ্রেস এই পথ দিয়ে দুই বাংলার মধ্যে যাতায়াত করতে পারে বলে সূত্রের খবর। এ বিষয়ে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। তবে কোন সময়ে ট্রেনটি চলাচল করবে এবং সপ্তাহে কত দিন চলবে, তার প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে বলেও খবর। শুরুতে সপ্তাহে একদিন ভোরবেলায় ট্রেনটি এনজেপি থেকে ছাড়তে পারে। যদিও তার আগে, আগামী মাস থেকেই হলদিবাড়ি-চিলাহাটি লাইনে মালগাড়ি ছুটতে পারে। রেলের তরফে জানানো হযেছে, এই বিষয়ের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, “চিলাহাটি লাইনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গিয়েছে। মালগাড়ির ক্ষেত্রে রেল ইচ্ছে করলে দিন ঠিক করে চালাতে পারে না। আগে বুকিং হতে হবে। বুকিং হলেই মালগাড়ি চলবে। যাত্রিবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি।”
আপাতত মালগাড়িতে চাপিয়ে পাথরকুচি এবং খাদ্যশস্য, এই দুই-ই পাঠানো হবে বলে রেল সূত্রে খবর। মালগাড়িতে পণ্য ওঠানো-নামানোর ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি টাউনের পরের স্টেশন রানিনগর এবং শিলিগুড়ির বাগডোগরায় পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। রেলের দাবি, সারা ভারতের মালগাড়ি চলাচলের যে অনলাইন সিস্টেম রয়েছে, তাতে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি লাইনটি ঢোকানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পঞ্চান্ন বছর পরে খুলে যাওয়া দুই বাংলার এই লাইনে কোন যাত্রীবাহী ট্রেন প্রথম চলবে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। রেল জানিয়েছে, মৈত্রী এক্সপ্রেসই প্রথম চলবে। আগামী দু’মাসের মধ্যে হলদিবাড়ি এবং জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে তল্লাশি-সহ প্রয়োজনীয় কিছু পরিকাঠামো তৈরি করবে রেল। তার পরে এনজেপি, হলদিবাড়ি-চিলাহাটি হয়ে ঢাকা যাতায়াত করবে মৈত্রী এক্সপ্রেস।
এনজেপি-র পরে জলপাইগুড়ি টাউন এবং হলদিবাড়িতে থামার কথা মৈত্রী এক্সপ্রেসের। বাংলাদেশে ঢুকে চিলাহাটির পরে ঢাকার আগে আরও একটি স্টপ থাকবে সেই ট্রেনের। মৈত্রী এক্সপ্রেসের সঙ্গেই এনজেপি-কলকাতা একটি যাত্রিবাহী ট্রেনও চলতে পারে বলে খবর। একসময়ে এই পথে দার্জিলিং মেল যাতায়াত করত।
নস্টালজিয়ার সেই লাইন ধরেই সুপারফাস্ট ট্রেন চলাচল করতে পারে বলে খবর। সে ক্ষেত্রে ট্রেনটির বাংলাদেশে কোনও স্টপ থাকবে না এবং বাংলাদেশে ঢোকার পরে ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় দরজা বন্ধই থাকবে।