মাঝরাতে আবির-বাজি নিয়ে রাস্তায় শিলিগুড়ি

সন্ধেবেলা কলকাতার বৃষ্টি মুখ ভার করেছিল শিলিগুড়িরও। যদিও মধ্যরাতে ধোনি এবং কোহালির ব্যাটের দাপট শিলিগুড়ির আকাশে আতসবাজি, রাস্তায় আবির ছড়াল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শনিবার রাতে ভারতীয় দল পাকিস্তানকে হারাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল শিলিগুড়ি।

Advertisement

অনির্বাণ রায় ও সংগ্রাম সিংহ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৬ ০২:১২
Share:

শহর নামল পথে। হিলকার্ট রোডে শনিবার রাতে ছবিটি তুলেছেন বিশ্বরূপ বসাক।

সন্ধেবেলা কলকাতার বৃষ্টি মুখ ভার করেছিল শিলিগুড়িরও। যদিও মধ্যরাতে ধোনি এবং কোহালির ব্যাটের দাপট শিলিগুড়ির আকাশে আতসবাজি, রাস্তায় আবির ছড়াল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শনিবার রাতে ভারতীয় দল পাকিস্তানকে হারাতেই উল্লাসে ফেটে পড়ল শিলিগুড়ি। গভীর রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন রাস্তায় উৎসবের ছবি দেখা গিয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশকে হারানোর পরেও শিলিগুড়ির রাস্তাতেও উৎসব দেখা গিয়েছিল। তবে এ দিন বিশ্বকাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর উল্লাস যেন সে দিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

খেলা ঘিরে আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল আগে থেকেই। হাসমিচক, হাকিমপাড়া, দেশবন্ধুপাড়ার রাস্তার পাশে টিভি বসিয়ে ছিলেন বাসিন্দারা। খেলা শেষ হওয়ার পরে সেখানে হাজির দর্শকেরা তো উচ্ছ্বাসে ভাসলেনই, বাড়িতে বসে যাঁরা খেলা দেখছিলেন তাঁরাও নেমে এলেন রাস্তায়। তেরঙ্গা পতাকা, তাসা নিয়ে নাচগান হয়েছে হাসমিচক, বিধান রোড। হাসমিচকে মুখে তিন রঙে পতাকা এঁকে সেলফি তুলতেও দেখা গিয়েছে অনেককে। জলপাই মোড়, হায়দারপাড়ার রাস্তাতেও গভীর রাতে উল্লাসের ছবি দেখা গিয়েছে। বিধান মার্কেটের কয়েক জন ব্যবসায়ী পথচারীদের মিষ্টিমুখও করিয়েছেন।

ভোটের বিধিনিষেধে মোটরবাইক মিছিল নিষিদ্ধ হলেও, টি-টোয়েন্টি জেতার উল্লাসে কোনও বিধিনিষেধ নেই। মোটরবাইকে চেপে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে হিলকার্ট রোড থেকে কখনও কাছারি মোড়, সেবক রোড, রাজা রামমোহন রায় রোড, বর্ধমান রোডে ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া’ অথবা ‘ধোনি-কোহালি’ চিৎকার করতে-করতে যেতে দেখা গিয়েছে যুবক বা মোটরবাইকের পিছনে বসা তরুণীদের। তাসা-ঢোল নিয়ে মিছিলও হয়েছে। সেবক রোডে গত কয়েক দিন ধরেই রাতের বেলায় হোলি উপলক্ষ্যে দেশওয়ালি গানের আসর চলছিল। এ দিন সেই আসরে জাতীয় পতাকা নিয়ে হোলির নানা রকম গানেই নাচানাচি করতে দেখা গিয়েছে অনেককে।

Advertisement

মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড়ে জড়ো হওয়া ভিড়ের নাচানাচিতে রাস্তার এক দিক বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার এক দিক জুড়ে প্রায় ৫৬ ফুট লম্বা পতাকা নিয়ে শুরু হয় নাচানাচি। অন্তত আধ ঘণ্টা ধরে পোড়ানো হয় আতসবাজি। শিলিগুড়ি জংশনের বাসিন্দা অভয়শঙ্কর সিংহ বলেনন, ‘‘এটা হয়তো ফাইনাল বা সেমিফাইনাল ছিল না। কিন্তু এমন একটা ম্যাচ জেতার আবেগে রাস্তায় নেমেছি। আমরা ফাইনালেও জিতব।’’ প্রায় হাজারখানেক টাকার আতসবাজি কিনেছেন বলে জানালেন ব্যবসায়ী সঞ্জয় সরকার। হিলকার্ট রোডের ফুটপাতে ডাঁই করা ছিল বাজির প্যাকেট। বললেন, ‘‘এত কষ্ট করে আমাদের খেলোয়াড়েরা ম্যাচ জিতল, মধ্যরাত পেরিয়েও রাস্তায় বাজি না পোড়ালে সেই পরিশ্রমকে সম্মান জানানো যাবে না।’’

আবেগ-আবির-আতসবাজিতে শিলিগুড়ির সর্বত্রই উল্লাস চলেছে অনেক রাত পর্যন্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement