নোট বাতিলে ধাক্কা বড়দিনের উৎসবেও

নোট সমস্যার জেরে বড়দিনের জৌলুস ফিকে হতে চলেছে চার্চগুলিতে। রঙিন বাতি, কেক সহ সাজসজ্জার জন্য ভক্তরা এখনও পর্যন্ত চার্চগুলিতে দান দিতে পারেননি। আলিপুরদুয়ার জংশনের কাছে সবচেয়ে বড় চার্চে এ বছর বড়দিনের ১৬টি বিয়ের আবেদন জমা পড়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৪
Share:

নোট সমস্যার জেরে বড়দিনের জৌলুস ফিকে হতে চলেছে চার্চগুলিতে। রঙিন বাতি, কেক সহ সাজসজ্জার জন্য ভক্তরা এখনও পর্যন্ত চার্চগুলিতে দান দিতে পারেননি। আলিপুরদুয়ার জংশনের কাছে সবচেয়ে বড় চার্চে এ বছর বড়দিনের ১৬টি বিয়ের আবেদন জমা পড়েছিল। অর্থের সমস্যায় তার মধ্যে পাঁচটি বিয়ের আবেদন আপাতত ফিরিয়ে নিয়েছেন পরিবারের লোকেরা। চার্চের ফাদাররা জানান, অন্য বছর বড়দিনের চার পাঁচদিন আগে ভক্তদের অনুদান চলে আসে। সেই দিয়ে বড়দিনের কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। এ বছর নোট সমস্যায় অনুদান গত বছরের তুলনায় মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ জমা পড়েছে।

Advertisement

এই চার্চ স্থাপিত হয়েছে ১৯৩৫ সালে। প্রথমবার বড়দিনের আগে অর্থ সমস্যায় ফাদাররা। সেন্ট জোসেফ হাইস্কুলের ফাদার তথা আলিপুরদুয়ার জেলার বেশ কয়েকটি চার্চের দায়িত্বে থাকা ফাদার টমাস জানান, বড়দিনের জন্য অর্থ আসে ভক্তদের অনুদান থেকে। তা দিয়ে যিশুর জন্মদিন পালিত হয়। তিনি বলেন, ‘‘এ বছর মাদার টেরিজা সন্ত উপাধি পেয়েছেন। ইচ্ছে ছিল বড়দিনে মাদারের ছবিকেও সাজানো হবে রঙবেরঙের কাগজ ও আলো দিয়ে। কিন্তু মূল বাধা অর্থ।’’

তিনি জানান, গত বছর সেন্ট জোসেফ চার্চে বড়দিনে খরচ হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা। তার মধ্যে আলোর জন্য আট হাজার টাকা দিয়েছিলেন আনন্দকুমার শাহ নামে এক ব্যক্তি। এবার তিনি জানান নোট সমস্যার জেরে টাকা দিতে পারবেন না। শামুকতলা চার্চে গত বছর খরচ হয়েছিল ৬ হাজার টাকা। এখন অনুদান সে ভাবে পড়েনি। চিন্তায় সেখানকার কর্তৃপক্ষ। সোনাপুর চার্চে গত বছর খরচ হয়েছিল ৬ হাজার টাকা। সেখানেও তেমন টাকা অনুদান জমা পড়েনি। চার্চে আসা অধিকাংশ চা বাগানের শ্রমিক, না হলে দিন মজুর। নোট সমস্যার জেরে তাদের সংসার চালানো সমস্যায়। তাই এ বছর জৌলুসহীন ভাবেই হয়ত পালিত হবে আনন্দের উৎসব বড়দিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement