Preganant

pregnancy: উনিশেই মা নয়, প্রচার জেলা জুড়ে

কমবয়সী মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার হার বেড়েছে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২১ ০৮:০৭
Share:

প্রতীকী চিত্র।

গত বছর করোনা-কালে লকডাউনের সময় উনিশ বছর বা তার কম বয়সের মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আলিপুরদুয়ার জেলায়। রাজ্য জুড়ে কড়া বিধিনিষেধ চললেও এ বছর সেই হার কিছুটা কম। তাতে অবশ্য সন্তুষ্ট নন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বরং কমবয়সে গর্ভবতী হওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে জেলা জুড়ে প্রচারে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কমবয়সে কারও বিয়ে হলে, সেই বাড়িতে গিয়ে নবদম্পতিকে সচেতন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ সালে আলিপুরদুয়ারে গর্ভবতী মহিলার সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৬৭৬। এর মধ্যে উনিশ বছর পর্যন্ত গর্ভবতী মেয়েদের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৯০৯ জন। এই বয়সের মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার হার ছিল ১৩.০১ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালে ১৭ হাজার ৩৬৬ জন গর্ভবতীর মধ্যে ২৭৫৬ জনের বয়স ছিল উনিশ বছর বা তার নীচে। ২০১৯-২০ সালে জেলায় ২৪ হাজার ৫৬৮ জন গর্ভবতীর মধ্যে উনিশ বছর বা তার নীচে থাকা মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৬৬ জন।

তবে ২০২০-২১ সালে সেই হার কিছুটা কমে। ওই বছর জেলায় মোট গর্ভবতী মহিলার সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৩৫। তার মধ্যে উনিশ বছর বা তার নীচে থাকা গর্ভবতী মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৫০৩।

Advertisement

কিন্তু ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৭৫৯ জন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে উনিশ বছর বা তার নীচে থাকা মেয়েদের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৬৮। ওই বছরই মার্চ মাসে দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন মহলের অভিযোগ, যার জেরে নাবালিকা বিয়ের ঘটনাও সেই সময় বাড়তে শুরু করে। তার জেরেই কমবয়সী মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার হার বেড়েছে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

এ বছরের এপ্রিল-জুনে অবশ্য জেলায় ৭ হাজার ৬১ জন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে ১৯ বছর বা তার নীচে থাকা মেয়েদের সংখ্যা ছিল ৯৪৬ জন। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের মতে, কমবয়সে গর্ভবতী হলে অপরিণত শিশু জন্মানো থেকে শুরু করে মায়েদের রক্তাল্পতা-সহ নানা অসুখ এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মণ বলেন, “সুস্থ ও স্বাভাবিক জন্ম দেওয়ার পাশাপাশি মায়েদের মৃত্যু হার ঠেকাতে কম বয়সে গর্ভধারণ এড়াতেই হবে।” আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “কম বয়সে গর্ভধারণ এড়াতে জেলার প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিশোরী মেয়েদের কাউন্সেলিং করার কাজ চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement