Darjeeling

ডিভিশন বেঞ্চেও খারিজ হামরোর আর্জি, দার্জিলিং পুরসভা অনীতের দখলে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা

আগামী ১৬ জানুয়ারি পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন রয়েছে। তার আগে হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এবং সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার হামরোর আবেদন খারিজ করল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:১৮
Share:

পুরসভায় বোর্ড গঠনে আর বাধা থাকল না অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সামনে। নিজস্ব ছবি।

দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা সভা নিয়ে হামরো পার্টির আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। যার জেরে পুরসভায় বোর্ড গঠনে আর বাধা থাকল না অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সামনে। যদিও অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো সূত্রে খবর, তারা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Advertisement

আগামী ১৬ জানুয়ারি পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন রয়েছে। তার আগে হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটে বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য এবং সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার হামরোর আবেদন খারিজ করল। তার ফলে পুরসভায় অনাস্থা বহালই রইল। হামরোর আর্জি খারিজ প্রসঙ্গে অনীত বলেন, ‘‘আমরা অনৈতিক কোনও কাজ করি না। তা প্রমাণিত হল। আমাদের চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরি হচ্ছেন। ওরা (হামরো পার্টি) নির্বাচনে অংশ নিতেই পারে। এটা ওদের গণতান্ত্রিক অধিকার। পুরসভার প্রচুর কাজ বাকি। আমরা ক্ষমতায় এলেই কাজ শুরু করে দেব।’’

দার্জিলিঙের পুরভোটে ১৮ আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছিল হামরো পার্টি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ওই দলের ৬ জন কাউন্সিলর অনীতের দলে যোগ দেন। এর পরেই পুরসভা দখলের প্রক্রিয়া শুরু করে দেয় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরিয়ে দেওয়া হয় পুরসভায় হামরো পার্টির চেয়ারম্যান রীতেশ পোর্টেলকেও। তার বিরুদ্ধেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চেয়ারম্যান। সেই আর্জি প্রথমে উচ্চ আদালতের একক বেঞ্চ, এ বার ডিভিশন বেঞ্চও খারিজ করে দিল। ফলে ১৬ তারিখে নয়া চেয়ারম্যান নির্বাচনে আর বাধা থাকল না।

Advertisement

আদালতের রায় প্রসঙ্গে রীতেশ বলেন, ‘‘আমরা হাই কোর্টের রায় মেনে নিতে পারিনি। তাই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলের প্রধান অজয় এডওয়ার্ডের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আমরা চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নেব। কারণ, এটা সংবিধান মেনেই হচ্ছে। কিন্তু যে ভাবে অপসারণ করা হয়েছে, তা পুরোটাই অনৈতিক। তাই আমরা মামলা করেছিলাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement