সার্কিট বেঞ্চে প্রথম রেজিস্ট্রার

শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছেছেন কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। সার্কিট বেঞ্চের তথ্য প্রযুক্তি কর্মী নিয়োগের প্র্রক্রিয়া চলছে শিলিগুড়িতে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১০
Share:

পরিদর্শন: সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো দেখছেন প্রতিনিধিরা। —নিজস্ব চিত্র

জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের প্রথম রেজিস্ট্রার নিয়োগ করল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রশাসন সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ির জেলা ও দায়রা আদালতের জেলা জজ প্রসেনজিত বিশ্বাসকে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৯ মার্চ সার্কিট বেঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। সে দিন থেকেই রেজিস্ট্রার পদের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রশাসনকে। রাজ্যের আইন দফতর সূত্রের খবর, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের আন্দামান বেঞ্চের রেজিস্ট্রার পদের দায়িত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে জলপাইগুড়ির বর্তমান জেলা জজ প্রসেজনজিতবাবুর। ইতিমধ্যে সার্কিট বেঞ্চের কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে রেজিস্ট্রার নিয়েও কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশিকা জারি করল।

Advertisement

এ দিন বুধবার শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছেছেন কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। সার্কিট বেঞ্চের তথ্য প্রযুক্তি কর্মী নিয়োগের প্র্রক্রিয়া চলছে শিলিগুড়িতে। আগামীকাল জলপাইগুড়িতে চার বিচারপতি আসতে পারেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর। রাজ্যের বিচার বিভাগীয় সচিব সন্দীপ কুমার চৌধুরী। তিনি জেলা পরিষদ ডাকবাংলো তথা অস্থায়ী আদালত ভবন, বিচারপতিদের আবাসনে গিয়ে নির্মাণ কাজ দেখেছেন। এ দিনও নতুন করে বেশ কিছু রদলবদলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের সরকারি আইনজীবীদের ঘরেরও কিছু রদবদল করার কথা বলা হয়েছে এ দিন। অস্থায়ী আদালত ভবনে তিনটি অতিরিক্ত ঘরের ব্যবস্থা রাখার কথাও বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের অস্থায়ী আদালত ভবনে একটি ক্যান্টিনের বন্দ্যোবস্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনে। ক্যান্টিন কোথায় তৈরি হবে তার জায়গা নিয়ে সমস্যা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ভবন লাগোয়া একটি বাড়িতে ক্যান্টিন করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছিসল। সেই বাড়িটি পাওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই বলে দাবি। ভবনে একপাশে যেখান দিয়ে সাধারণের ঢোকার কথা তার এক পাশে ক্যান্টিন তৈরি করা যেতে পারে বলে ভাবা হয়েছে। মহুরিদের বসার ঘর এবং পুলিশ কর্মীদের ঘরের রদবদল হতে পারে বলেও খবর। হাইকোর্টে নিরাপত্তার জন্য দশ জন পুলিশ কর্মী সর্বক্ষণ থাকবেন। তাঁদেরও বসার ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিমধ্যেই সার্কিট বেঞ্চের জন্য ডিএসপি পদ তৈরি করে অফিসার নিয়োগ করেছে জেলা পুলিশ। ডিএসপি-এর (সার্কিট বেঞ্চ) বসার জন্যও একটি অফিস তৈরি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

এ দিন থেকে বেঞ্চ চত্বরে ঝাড়পোছ করার কাজও শুরু করেছে পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement