—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
খুচরো বাজারে দামের ঝাঁঝ বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের। গত প্রায় সাত দিনে কেজি প্রতি পেঁয়াজের ২০ টাকা দাম বেড়েছে বলে দাবি ক্রেতাদের। শিলিগুড়ি বিভিন্ন বাজারে ৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি তুলছিলেন ক্রেতাদের একাংশ। এ বার ‘সুফল বাংলা’র মাধ্যমে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রবিবার থেকে শিলিগুড়িতে ‘সুফল বাংলা’র বিভিন্ন স্টলে ৫৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হল। শহরে এবং শহর সংলগ্ন ১২টি অস্থায়ী স্টলে ‘সুফল বাংলা’র তরফে এ দিন কয়েক কুইন্টাল পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে বলে দাবি। তাতে ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়েছে।
তবে এ অভিযোগও উঠেছে, সঠিক নিয়ম না থাকায় এক ব্যক্তি একাধিক বার লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনেছেন। ফলে অনেক ক্রেতা পেঁয়াজ না পেয়ে বিক্রিতে নজরদারির দাবি তুলেছেন। শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের তরফে জানানো হয়েছে, ‘সুফল বাংলা’য় এক জন ক্রেতাকে এক কেজির বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে না। অনিয়মের অভিযোগ থাকলে দেখা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত বাজারের সচিব তমাল দাস বলেন, ‘‘পেঁয়াজের দামে ভর্তুকি দিয়ে রাজ্য সরকার কিছুটা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা করেছে। ক্রেতাদের ভাল সাড়া মিলছে। স্টলে গিয়ে যাতে কোনও ক্রেতাই ফিরে না যান সাধারণত সেই চেষ্টা করেন কর্মীরা।’’
‘সুফল বাংলা’র শিলিগুড়ির আধিকারিক সুষেন মণ্ডল জানিয়েছেন, বেশির ভাগ স্টল শহরের ভিতরে রয়েছে। শহরের বাইরে শিবমন্দির এবং মেডিক্যাল মোড়ে একটি করে স্টল রয়েছে। এ দিন মোট ৭ কুইন্টালের মতো পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। ‘সুফল বাংলা’র স্টলে অন্যান্য আনাজও বাজারের থেকে কিছুটা কম দামে বিক্রি হয়েছে। অভিযোগ, ‘সুফল বাংলা’র স্টলগুলি খোলা রাখার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখে না। তা ছাড়া, প্রয়োজনীয় সব ধরনের আনাজও পাওয়া যায় না। ফলে শুধু পেঁয়াজ আর আলুর দাম বাড়লেই ‘সুফল বাংলা’য় ভিড় হয় বলে অনেক ক্রেতার অনুযোগ।
নিয়ন্ত্রিত বাজার সূত্রের খবর, শিলিগুড়িতে চাহিদার জোগান দেয় নাসিকের পেঁয়াজ। স্বাভাবিক সময়ে দিনে ৩০-৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আসত। এখন দিনে ১০-১৫টি ট্রাক আসছে। তা চাহিদার তুলনায় কম বলেই দাবি। তাতে খোলা বাজারে পেঁয়াজের কালোবাজারির অভিযোগও উঠছে। কিছু বিক্রেতা মজুত রেখে চড়া দামে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। প্রশাসনের তরফে তেমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থার নেওযার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।