ক্রেতা-কই: পুজোর আগে দ্বিতীয় রবিবার। কিন্তু লোকজন নেই শিলিগুড়ির বাজারে। নিজস্ব চিত্র
দুর্গাপুজোতেও কি মন্দার প্রভাব? মহালয়ার আগে শেষ রবিবারে পুজোর বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখে এমন প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে আলিপুরদুয়ারের বেশিরভাগ জামা-কাপড়ের ব্যবসায়ীর মনে।
পুজো শুরু হতে অপেক্ষা আর মাত্র সপ্তাহ দুয়েকের। এ বার অক্টোবর মাসের শুরুতেই পুজো পড়ায় সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকেই বাজার জমবে বলে আশায় ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সে গুড়ে যেন বালি। অন্তত এমনটাই মত আলিপুরদুয়ার শহরের ব্যবসায়ীদের। সূত্রের খবর, গত তিনটি রবিবারের মতো চতুর্থ রবিবারটাও কার্যত দিনভর মাছি তাড়িয়েই কাটাতে হয়েছে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের।
শহরের একটি জামা-কাপড়ের দোকানের মালিক বিনয় সরকারের কথায়, গত প্রায় দু’বছর থেকে পুজোর বাজারে মন্দা চলছে। তার মধ্যেও গতবার বাজার সামান্য হলেও চাঙ্গা ছিল। এ বার তো তা-ও নেই। গতবার পুজোর অন্তত দিন কুড়ি আগে বাজার জমে গিয়েছিল। এ বার তো পুজো শুরুর দুই সপ্তাহ আগেও বাজার জমছে না। শহরের একটি জামা-কাপড়ের দোকানের এক কর্মী বলেন, ‘কথায় রয়েছে, কাজ না থাকলে মাছি তাড়াও। কিন্তু আমাদের দোকানে তো মাছিও নেই! ক্রেতাদের অভাবে মাঝেমধ্যেই ঝিমুনি ধরে যাচ্ছে। টেবিলে হাতের ভর দিয়ে খানিকটা ঘুমিয়েও নিচ্ছি।’’
কিন্তু কেন এ বারের পুজোর বাজারের এই পরিস্থিতি? ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, একে চারিদিকে মন্দা চলছে বলে খবর পাচ্ছি। তার উপর চা শ্রমিকদের বোনাসও এখনও হয়নি। আলিপুরদুয়ার শহরের অনেক দোকানই তো শহরতলি বা আরেকটু দূরের চা শ্রমিকদের কেনাকাটা নিয়েও অভ্যস্ত। তবে শহরের জামা-কাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ীদের আরেকটি অংশের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ারে বেশ কিছু শপিং মল গড়ে উঠেছে। ক্রেতাদের একটা বড় অংশ সেখানে যাচ্ছেন। যার প্রভাবও পুজোর বাজারে পড়ছে।’’
শহরের একটি জামা-কাপড়ের দোকানের মালিক অমৃতা সরকার বলেন, ‘‘গতবার এই সময় ব্যাপকহারে বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার যে কেন এমন পরিস্থিতি বুঝতে পারছি না। দোকানে ক্রেতারাই আসছেন না। চারিদিকে শুনছি মন্দা চলছে। হয়তো এটা এই পরিস্থিতির একটা কারণ হয়ে থাকতে পারে।’’ তবে এই পরিস্থিতি পুজো পর্যন্ত চলতে থাকলে কী হবে তা ভেবেও ব্যবসায়ীদের অনেকের এখন মাথায় হাত।