—নিজস্ব চিত্র।
পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য অধিগৃহীত বাসের ভাড়া এখনও বকেয়া রেখেছে উত্তর দিনাজপুর প্রশাসন। রবিবার এমনটাই দাবি করলেন জেলার বাস-মিনিবাস মালিকেরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা।
রায়গঞ্জের বাসমালিক সংগঠনের দাবি, গত বছর লকডাউন চলাকালীন ২৮ মার্চ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৫টা বাস এবং ১ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ৭০টি বাস ভাড়া নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। পরিযায়ীদের নিজেদের গ্রামে ফেরাতে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের মাধ্যমে বাসগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। তবে সে সময় ডিজেল খরচ ছাড়া বাসমালিকদের কিছুই দেওয়া হয়নি বলে দাবি। ভাড়া বাবদ শুধুমাত্র রায়গঞ্জ মহকুমার বাস মালিকদেরই বকেয়া প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা।
যদিও ইসলামপুর মহকুমা প্রশাসন তাদের বকেয়া বিল অনেক আগেই মিটিয়ে দিয়েছে বলে রায়গঞ্জের বাস-মিনিবাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন বলেছিল, বাসের ডিজেল খরচ দেওয়া হবে। তবে করোনা সংক্রমণের ভয়ে বাসকর্মীরা প্রথমে কাজে আসতে চাননি। মালিকেরা নিজের পকেট থেকে তাঁদের বেশি পারিশ্রমিক দিয়েছিলেন। কিন্তু লকডাউনের পর জেলা প্রশাসনের কাছে বকেয়া চাইলেও আমল দেওয়া হয়নি।’’ তাঁদের আরও দাবি, আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিকের কাছে বকেয়া চাইলে বলা হয়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরের অফিস থেকে তা দেওয়া হবে। তবে স্বাস্থ্য দফতরও কর্ণপাত করছে না বলে অভিযোগ।
তবে আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সুরজকুমার দাস বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারিতেই বিল তৈরি করে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে দেওয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকেই বিল পাবেন অধিগৃহীত বাস মালিকেরা। উচ্চপদস্থ কর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।’’ যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে নারাজ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।